ধমক দিয়ে খামোশ করা গণতন্ত্র নয়: বি চৌধুরী

প্রকাশ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সোমবার ঢাকা রিপোটার্সর্ ইউনিটিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী Ñযাযাদি
যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘ডেভেলপমেন্ট মাইনাস ডেমোক্রেসি (গণতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়ন), এটা হতে পারে না। গণতন্ত্র সব পযাের্য় দিতেই হবে। সাংবাদিকদেরও গণতান্ত্রিক অধিকার দিতে হবে। সাংবাদিক ধমক দিয়ে খামোশ করা গণতন্ত্র নয়। সাধারণ মানুষকে কথা বলার অধিকার দিতে হবে এবং ভোটের অধিকার দিতে হবে।’ সোমবার বেলা পৌনে একটার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোটার্সর্ ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বি. চৌধুরী এসব কথা বলেন। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে যুক্তফ্রন্ট এই আলোচনার আয়োজন করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, সংবিধান অনুসারে নিবার্চন কমিশনের (ইসি) পূণর্ ক্ষমতা আছে। সরকারি কোনো কমর্কতাের্ক বদলি করা, বরখাস্ত করাÑ এগুলো করার ক্ষমতা সরকারের এখন নেই। এ ক্ষমতা ইসির। ইসি যদি স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করে, এখনো সম্ভব একটা সুন্দর নিবার্চন করা। অংশগ্রহণ তো হয়েই গেছে। কিন্তু অংশগ্রহণ করলেই হবে না, যতক্ষণ না ইসি তার সঠিক দায়িত্ব পালন করবে। এই দায়িত্ব ইসি কতটুকু বুঝেছে, তা তাদের ব্যাপার। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার দায়িত্ব তাদের। সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, গ্রামে-গঞ্জে বিদ্যুৎ পেঁৗছে গেছে। বিদ্যুৎ আছে বলেই বাংলাদেশ শিল্প-বাণিজ্যে, ব্যবসায় এগিয়েছে। কিন্তু দুনীির্ত থাকলে অথৈর্নতিক অগ্রগতির বিরাট অংশ খেয়ে ফেলবে। আজকে সরকারব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা, সরকারবিরোধী দলে ভোটবাণিজ্য হচ্ছে। এটাও কিন্তু দুনীির্ত। দুনীির্ত দেশের মানুষের ভেতরে প্রবেশ করেছে। যে অগ্রগতি হয়েছে অথর্নীতির ক্ষেত্রে, দুনীির্ত নিয়ন্ত্রণে থাকলে জিডিপি আরও বাড়ত। এই দেশে এত দ্রæত অগ্রগতি হচ্ছে, এটাকে বাধাগ্রস্ত করা উচিত নয়। এ সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে অগ্রগতির ধারা তারা বজায় রাখবে এবং অথৈর্নতিক অগ্রগতির মাধ্যমে তারা দেশের মানুষকে স্থায়িত্ব, দৃঢ়তা ও সুনিশ্চিত আস্থা দিতে চায়। সেজন্যই যুক্তফ্রন্ট সরকারের পাশে দঁাড়িয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দুনীির্ত ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়ব। এটাই যুক্তফ্রন্টের প্রতিজ্ঞা।’ বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা সেই দল, যারা একই সঙ্গে গণতন্ত্র ও উন্নয়নে বিশ্বাস করি। যুক্তফ্রন্টের রাজনীতি শান্তি-সুখের রাজনীতি। গণতন্ত্র ও উন্নয়ন দুটোই একসঙ্গে করতে হবে। একাধারে উন্নয়ন, অন্যদিকে গণতন্ত্রÑ দুইয়ের পক্ষেই যুক্তফ্রন্ট আছে। উন্নয়ন হবে, গণতন্ত্র থাকবে না; আবার গণতন্ত্র থাকবে, উন্নয়ন হবে নাÑ এটা আমরা বিশ্বাস করি না। দুটোই থাকবে। এটাই আমাদের মূলনীতি। এটা আমাদের শরিকেরা জানে।’ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুক্তফ্রন্টের সভাপতিমÐলীর সদস্য মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, সমন্বয়কারী সরদার শামস আল মামুন প্রমুখ।