বগুড়ায় অবৈধ মজুত সার জব্দ, গুদাম সিলগালা

প্রকাশ | ০৯ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

ম স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া
বগুড়ার এরুলিয়া এলাকা থেকে অবৈধ মজুত করা ১২ থেকে ১৫ হাজার বস্তা ডিএপিও ইউরিয়া সার জব্দ করা হয়েছে। রোববার রাতে মঞ্জু করিম ট্রেডার্স নামে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওই গুদামে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সার ছাড়াও ২টি ট্রাক জব্দ করা হয় ও সারের গুদামটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। জানা গেছে, কালোবাজারে বিক্রির জন্য অবৈধ সার মজুতের খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পালের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ \হআদালত অভিযান পরিচালনা করেন। প্রায় রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অভিযান চলে। ইউএনও জানান, মঞ্জু করিম ট্রেডার্সের মালিক নাজমুল পারভেজ কনক নামে কোনো সার ডিলার নেই। এই ব্যক্তি অবৈধভাবে সার মজুত করে বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলাসহ পাশের নওগাঁ জেলাতেও সার বিক্রি করছিল। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনি আরও জানান, এরুলিয়ার গুদামটিতে বেশ কিছুদিন ধরে অবৈধ সার মজুত করে কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল এমন খবর পেয়ে তারা অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় গুদামটিতে ১২ থেকে ১৫ হাজার বস্তা সার পাওয়া গেছে। এছাড়া গুদামের বাইরে দু'টি ট্রাক পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি ট্রাক সার বোঝাই এবং অন্যটি খালি ছিল। অবৈধ সার মজুতের কারণে গুদামটি সিলগালা এবং ট্রাক ২টি জব্দ করা হয়েছে। সারগুলো কালোবাজারে বিক্রির জন্য মজুত করা হয়েছিল। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করবেন বলেও জানান ইউএনও। স্থানীয় সূত্র জানায়, গুদামের মালিক নাজমুল পারভেজ কনক শহরের বড়গোলা এলাকায় ব্যবসা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের অবৈধ সার মজুতের গোপন আস্তানা ছিল এরুলিয়ার ওই গুদাম। শুধু বগুড়া নয় আশপাশের কয়েকটি জেলায় এই গুদাম থেকে কালোবাজারে সার পাচার হচ্ছিল। অভিযান পরিচালনার সময় গোডাউনের গেটম্যান মজিবর রহমান সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন, গুদামটি আগে খালি ছিল। গত প্রায় এক মাস ধরে সেখানে সার মজুত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক জানান, সারসহ সব ধরনের অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে বগুড়া ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল কালাম আজাদ জানান সার মজুত করে থাকলে তা ভালো নয়।