এই কষ্ট সাময়িক, দুর্দিন চলে যাবে :কাদের

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি ডেস্ক
দেশের বর্তমান সংকট দ্রম্নত চলে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা মানুষের কষ্ট বোঝেন। সরকারপ্রধান হয়ে তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন, 'মানুষ কষ্ট করছে'। এই কষ্ট লাঘবে তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কষ্ট সাময়িক, এই দুর্দিন চলে যাবে। সুদিন আবার আসবে। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ঢাবি ছাত্রলীগ আয়োজিত 'পিতার শোক, কন্যার শক্তি : বাংলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন 'আমরা দোষী না, আমরা অপরাধীও না। আমাদের আর্থিক সংকটের বৈশ্বিক পরিস্থিতির মূল্য দিতে হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে মূল্য দিতে হচ্ছে। রাত জেগে জেগে দেশের মানুষের কথা ভাবতে হচ্ছে। ধৈর্যহারা হবেন না কেউ, ইনশা আলস্নাহ এই দিন থাকবে না।' এ দেশে আন্দোলনে জিতলে, নির্বাচনেও জেতা যায় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'কোথায় আপনাদের আন্দোলন? আন্দোলনের সোনার হরিণ তো দেখা দিল না। আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা না দেখা দিলে, ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন কখনও দেখা দেবে না। আন্দোলনে জয় নিয়েই নির্বাচনে যেতে হয়। ১৩ বছর ধরে দেখছি কোরবানির ঈদের পর, রোজার ঈদের পর আন্দোলন করবেন। দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর যায়; পদ্মা-মেঘনার কত পানি গড়িয়ে যায়; কিন্তু আপনাদের আন্দোলনের সোনার হরিণের দেখা পাওয়া যায় না। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দিলিস্ন দুরস্ত। এখনও অনেক দূরে।' মন্ত্রী বলেন, 'ফখরুল সাহেব কষ্ট প্রকাশ করে কী করবেন? শেখ হাসিনাকে আলস্নাহ ক্ষমতা দিয়েছেন, তিনি ভাগ্যবতী। আলস্নাহ এ দেশে একজনকে সৃষ্টি করেছেন স্বাধীনতার জন্য। আরেকজনকে মুক্তির জন্য। শেখ হাসিনা মানুষের মুক্তির জন্য লড়ে যাচ্ছেন। পদ্মা ব্রিজ নিয়ে অনেক অপপ্রচার হলো। সেটি এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। আপনাকে বলব, পদ্মা ব্রিজ দেখে যাবেন।' অনেকে বাংলাদেশকে শ্রীলংকা বানিয়ে দিতে চায় অভিযোগ করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এখনও চলিস্নশের কাছাকাছি আমাদের রিজার্ভ। ৪০-৩৯ কাছাকাছি ওঠানামা করেছে। গত ছয় মাসে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, এর আগের কখনও ছয় মাসে এই পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। বৈশ্বিক পরিস্থিতির মূল্য দিতে হচ্ছে আমাদের। রাত-দিন জেগে প্রধানমন্ত্রীকে মানুষের কথা ভাবতে হচ্ছে। একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পঁচাত্তরের হত্যাকান্ড উলেস্নখ করে তিনি বলেন, 'পলাশীর আম্রকাননের পুনরাবৃত্তি পঁচাত্তরের এই হত্যাকান্ড। সেখানে মীর জাফরের ভূমিকায় খন্দকার মোশতাক, সেনাপতি রায় দুর্লভের ভূমিকায় সেনাপতি জিয়াউর রহমান। কেন খুনিদের বিচার করা যাচ্ছে না? কারণ, কানাডা তাদের ফেরত দিচ্ছে না। আমরা তাদের অনুরোধ করব, খুনিদের ফেরত দিন। এটা বাংলার মানুষের দাবি।' অনুষ্ঠানে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন গবেষক, ইতিহাসবিদ ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ডক্টর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বিশেষ বক্তা ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।