খুলনা-গাজীপুরের মতোই ৩ সিটির নিরাপত্তা পরিকল্পনা

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নিবার্চনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গেল দুই সিটি করপোরেশনের মতোই নিরাপত্তা কমর্পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে বলে নিবার্চন কমিশনের কমর্কতার্রা জানিয়েছেন। আজ এই তিন সিটি করপোরেশন নিবার্চন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বৈঠক করবে সাংবিধানিক সংস্থাটি। নিবার্চন ভবনে অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার-ভিডিপি ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার শীষর্ কমর্কতার্রা অংশ নেবেন। প্রধান নিবার্চন কমিশনারের সভাপতিত্বে চার নিবার্চন কমিশনার, তিন সিটি করপোরেশন নিবার্চনের রিটানির্ং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন-পুলিশের দায়িত্বশীল কমর্কতার্রা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়েই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ছক চ‚ড়ান্ত করবে নিবার্চন কমিশন। ইসি সচিবালয়ের নিবার্চন পরিচালনা শাখার যুগ্মসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান মঙ্গলবার বলেন, ‘গত দুই সিটি নিবার্চনের মতোই আগামী তিন সিটির কমর্পরিকল্পনা প্রস্তাব করা হয়েছে।’ মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩০ জুলাই তিন সিটিতে ভোট হবে। মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছেন প্রাথীর্রা। দলীয় প্রতীকে প্রথমবার ভোট হচ্ছে এসব সিটি করপোরেশনে। একাদশ সংসদ নিবার্চনের আগে স্থানীয় সরকারের এ ভোটে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পাটির্, সিপিবি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি দল অংশ নিচ্ছে। খুলনা ও গাজীপুরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আসন্ন তিন সিটিতে কোনো ধরনের ভুল-ত্রæটি ও অনিয়মের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা হবে বলে নিবার্চন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ইতোমধ্যে জানিয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকের কাযর্পত্রে বলা হয়েছে, তিন সিটিতে দলীয় প্রতীকে প্রথম সিটি ভোট হওয়ায় এখানে বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে বেশি হারে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে। ভোটের আগের দুই দিন থেকে ভোটের পরদিন পযর্ন্ত চার দিন (২৮ জুলাই-৩১ জুলাই) ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোসর্ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা যেতে পারে। যুগ্মসচিব স্বাক্ষরিত প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় বলা হয়, তিন সিটি করপোরেশন নিবার্চনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন ও গুরুত্বপূণর্ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জন নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়াডের্ একটি করে মোবাইল ফোসর্ এবং প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়াডের্ একটি করে স্ট্রাইকিং ফোসর্ থাকবে। প্রতিটি ওয়াডের্ র‌্যাবের টিম এবং বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হবে। রাজশাহীতে ১৫ প্লাটুন, বরিশালে ১৫ প্লাটুন ও সিলেটে ১৪ প্লাটুন বিজিবি রাখা হবে। স্ট্রাইকিং ফোসর্ হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র‌্যাব-পুলিশের টিম ও কয়েক প্লাটুন বিজিবি রিজাভর্ ফোসর্ হিসেবে থাকবে। প্রচারণার শুরু থেকে প্রতি ওয়াডের্ একজন করে নিবার্হী হাকিম মাঠে থাকবেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামার পর তাদের নেতৃত্বেও থাকবেন নিবার্হী হাকিম। এ সময় তিনটি ওয়াডের্র জন্য একজন করে বিচারিক হাকিম নিয়োগ করবে ইসি। খুলনা ও গাজীপুর সিটিতেও একই রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিল ইসি। এ দুই নিবার্চনে আওয়ামী লীগের প্রাথীর্রা জয়ী হয়েছেন। দুই জায়গায়ই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। নিবার্চন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নিবার্চনে সব প্রাথীর্র জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতে একই রকম নিদের্শনা দেয়া হচ্ছে। খুলনার পর গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিবার্চনেও বিএনপি নেতাকমীর্ ও তাদের প্রাথীর্র সমথর্কদের গ্রেপ্তার-হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। ইসির কাছে প্রতিকারও চেয়েছিল দলটি। এ বিষয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, “গাজীপুরেও এমন নিদের্শনা দিয়েছি। এখন তিন সিটিতে দেয়া হবে, যাতে নিবার্চন শেষ না হওয়া পযর্ন্ত সিটি এলাকার কোনো বাসিন্দা বা ভোটারকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা না হয়। তবে ওয়ারেন্ট থাকলে তা ভিন্ন বিষয়।’