ডিআইজি মিজানের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মিজানুর রহমান
পুলিশের আলোচিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদ অজের্নর ‘প্রাথমিক প্রমাণ’ পেয়ে তার সম্পত্তির বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ দিয়েছে দুনীির্ত দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার কমিশন থেকে এই নোটিশ পাঠানো হয় বলে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচাযর্্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নোটিশে ডিআইজি মিজানকে সাত দিনের মধ্যে তার নিজের ও নিভর্রশীল ব্যক্তিদের নামে থাকা সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে।’ ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতœাকেও তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ দিয়েছে দুদক। এ বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ মহাপরিদশর্ক (ডিআইজি) মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে আরেক নারীকে জোর করে বিয়ে ও নিযার্তনের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এক নারী সংবাদ পাঠককে হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পরে তাকে ডিএমপি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এরই মধ্যে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পুলিশের উচ্চপদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুনীির্ততে জড়িয়ে নানা উপায়ে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ দুদকে এলে কমর্কতার্রা তার তদন্তে নামেন। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গত ১০ ফেব্রæয়ারি উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে দায়িত্ব দেয় দুদক। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত ৩ মে মিজানকে দুদকের প্রধান কাযার্লয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন অনুসন্ধান কমর্কতার্। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার সাভারে পুলিশ অফিসাসর্ হাউজিং সোসাইটিতে তার নিজের নামে পাঁচ কাঠা জমি রয়েছে। এছাড়া পূবার্চল নতুন শহর এলাকায় ৫ কাঠা, পুলিশ অফিসাসর্ বহুমুখী সমবায় সমিতির অধীনে অ্যাডভান্স পুলিশ টাউনে সাড়ে ৭ কাঠার প্লট ছাড়াও বরিশালের মেহেদিগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ৩২ শতাংশ জমিতে ২৪০০ বগর্ফুটের দোতলা ভবন থাকার তথ্য দুদকের অনুসন্ধানে এসেছে। অন্যদিকে ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া রতœার নামে উত্তরা রেসিডেন্সিয়াল মডেল টাউনে ১৭৫০ বগর্ফুটের একটি ফ্ল্যাটের মালিকানার তথ্যও দুদকে অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মিজানের ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপনের নামে রাজধানীর নিউ বেইলি রোডে ২৪০০ বগর্ফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। মেহেদীগঞ্জের ওষুধ ব্যবসায়ী মাহবুবুরের এই ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে তার বড় ভাই মিজানের বিনিয়োগ থাকতে পারে বলে দুদকের সন্দেহ। মিজানের ভাগ্নে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার এসআই মাহামুদুল হাসানের নামে নগরীর পাইওনিয়ার রোডে ১৯১৯ বগর্ফুটের একটি ফ্ল্যাট থাকার বিষয়টিও দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা গেছে। গত ৩ মে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় ডিআইজি মিজান বলেছিলেন, ‘ট্যাক্স ফাইলের বাইরে আমার কোনো সম্পদ নেই, বাকিটুকু আপনারা তদন্ত কমর্কতাের্ক জিজ্ঞেস করতে পারেন।’