নতুন অথর্মন্ত্রীর ঘোষণা

এখন থেকে আর এক টাকাও খেলাপি ঋণ বাড়বে না

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
আ হ ম মুস্তফা কামাল
এখন থেকে আর এক টাকাও খেলাপি ঋণ বাড়বে না। বরং সামনে ধীরে ধীরে খেলাপি ঋণের হার কমবে বলে জানিয়েছেন অথর্মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রীর নিজ কক্ষে অথর্মন্ত্রী মুস্তফা কামাল একথা বলেন। এর আগে দেশের সব ব্যাংকের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। অথর্মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ নন-পারফরমিং লোন (এনপিএল-ঋণখেলাপি)। আমরা আজ বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করেছি। ভালো একটা দিনে ভালো কাজ করেছি। ব্যাংকের মালিকদের সঙ্গে বসে ঋণখেলাপি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা নন-পারফরমিং লোন ভেরিফাই করব। এরপরেই আমাদের কাজ শুরু হবে। তবে নন পারফরমিং লোন নিয়ে যেভাবে লেখা হয় সেভাবে বাড়েনি। আমার মনে হয় এটা ম্যানেজেবল। তারপরেও জোর দিয়ে বলছি কোনোভাবেই আর বাড়বে না।’ তিনি আরও বলেন, কার কাছ থেকে টাকা পাব, কোন প্রতিষ্ঠান টাকা নিয়ে দিচ্ছে না এটা শনাক্ত করব। এরপরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রভাবশালীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করে না- এমন প্রশ্নের জবাবে অথর্মন্ত্রী বলেন, প্রভাবশালীরাই ব্যবসা-বাণিজ্য করেন। প্রভাবশালীরাই দেশে ৮২ শতাংশ। তারা প্রভাব না খাটালে দেশে অগ্রগতি হবে না, কমর্সংস্থান সৃষ্টি হবে না। প্রভাবশালীরাই দেশে দারিদ্র্য কমান। এনপিএল (ঋণখেলাপি) প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশে এনপিএলের হার ১১ থেকে ১২ শতাংশ। এর থেকে অন্য দেশে আরও বেশি। আমাদের পাশের দেশ ভারতে এনপিএল আরও বেশি। এনপিএল কমলে ব্যাংকে সুদের হার কমে যাবে। সুতরাং এটা কোনোভাবেই বাড়তে দেয়া যাবে না।’ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)-এর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এনপিএল কমানো নিয়ে অথর্মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। অনেকে আছে ব্যাংকের টাকা নিয়ে চলে গেছে। তাদের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। অনেকে ব্যাংকের টাকা নিয়ে ভালো ব্যবসা করছে, কিন্তু হঠাৎ করেই ব্যবসায় ধস। ফলে এসব ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না। এসব ব্যবসায়ীদের কিভাবে সুবিধা দেয়া যায় সেই বিষয়ে তারা আলোচনা করবেন। তিনি আরও বলেন, তারপরও বলতে পারেন বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ উদ্বেগজনক স্থানে পৌঁছায়নি। গড়ে ১১ থেকে ১২ শতাংশ। এর থেকে ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় বেশি। ঋণখেলাপি বৃদ্ধিতে ব্যাংক কমর্কতার্ জড়িত থাকে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএবি চেয়ারম্যান বলেন, কোনো ব্যাংক কমর্কতার্ জড়িত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না। ঋণখেলাপি আর বাড়বে না। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবালসহ সব ব্যাংকের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।