হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জি এম কাদের
জাতীয় পাটির্র চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এবং গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনুমোদন দিয়েছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, কাযর্প্রণালি বিধি ও এ সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী স্পিকার এ অনুমোদন দিয়েছেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।
সেদিন ভোট হওয়া ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৫৭টি আসন পায়। আর তাদের জোটসঙ্গীদের মধ্যে জাতীয় পাটির্ ২২টি এবং শরিক অন্য দলগুলো আটটি আসন পায়।
অন্যদিকে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সব মিলিয়ে সাতটি আসন পাওয়ায় তাদের সংসদে প্রধান বিরোধী দল হওয়ার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ ও শরিক দলের নিবাির্চতরা গত ৩ জানুয়ারি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেও ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করা বিএনপি ও তাদের শরিকরা শপথ না নেয়ার কথা বলে আসছে।
গতবার বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারের মন্ত্রিসভাতেও ছিল জাতীয় পাটির্। এ কারণে ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ আখ্যা পেতে হয়েছিল এরশাদের দলকে। এবার জাতীয় পাটির্ বা মহাজোটের শরিক অন্য কোনো দলের কেউ আওয়ামী লীগের সরকারে জায়গা পায়নি।
জাতীয় পাটির্র চেয়ারম্যান এরশাদ গত ৪ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে জানান, তার দল নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ না দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা নেবে। ‘পদাধিকার বলে’ তিনিই হবেন জাতীয় পাটির্র পালাের্মন্টারি দলের সভাপতি এবং প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা। আর দলের কো-চেয়াম্যান জিএম কাদের হবেন উপনেতা।
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা মন্ত্রী এবং উপনেতা প্রতিমন্ত্রীর মযার্দা পান। ‘বিরোধী দলীয় নেতা এবং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) অধ্যাদেশে তাদের সুযোগ-সুবিধা নিধার্রণ করা রয়েছে। সংসদ ভবনে বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতার পৃথক কাযার্লয়ও রয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদে ‘সরকারি দলের বিরোধীতাকারী’ সবোর্চ্চ সংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠিত সংসদীয় দলের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সংসদের কাযর্প্রণালী বিধি অনুযায়ী বিরোধী দলের নেতা এবং গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে রিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ‘স্বীকৃতি’ প্রদান করেছেন।
