জাবিতে উদ্বোধন পাখি মেলা

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বেলুন উড়িয়ে পাখি মেলার উদ্বোধন করেন জাবি উপাচাযর্ অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম Ñযাযাদি
পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ১৮তম ‘পাখি মেলা-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দশর্নাথীের্দর উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। ‘পাখ-পাখালি দেশের রতœ, আসুন সবাই করি যতœ’ ¯েøাগানে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্ অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এ মেলার উদ্বোধন করেন। জাবি উপাচাযর্ বলেন, ‘আমি মনে করি, পাখি থাকলে গাছ থাকবে, গাছ থাকলেই ফুল ও ফল থাকবে। একটি সুন্দর পরিবেশ পাবে মানবজাতি। পাখির অভয়ারণ্য নিশ্চিত করতে হলে সুন্দর এবং প্রয়োজনীয় পরিবেশ ধরে রাখতে হবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখির বসবাস উপযোগী পরিবেশ অক্ষুণœ রাখা হয়েছে। এ কারণে প্রতিবছর শীত মৌসুমে রকমারি প্রজাতির পরিব্রাজক পাখি এখানকার জলাশয়ে আসে।’ স্মৃতিচারণ করে উপাচাযর্ বলেন, বিগত শতকের ষাট ও সত্তর দশকের বতর্মান ইট পাথরের ঢাকা শহর ছিল সবুজ। অনেক জলাশয় ছিল। সেখানেও পাখি আসতো। পাখির ডাকে ঘুম ভাঙত। এখন সেই ঢাকা নেই। জলাশয় ভরাট, ইট, পাথর, কংক্রিটের নানাবিধ কাজের মধ্যদিয়ে মানুষ সবুজ প্রকৃতি ও পাখ-পাখালির ঢাকার পরিবেশ নষ্ট করেছে। সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে এখন আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। এ সময় তিনি পাখি মেলার আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, বিশিষ্ট পাখিবিশারদ ড. ইনাম আল হক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, আইসিইউএন বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাকিবুল আমিন, কথাসাহিত্যিক আখতার হোসেন, পাখি মেলা আয়োজক কমিটির আহŸায়ক অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান। এদিকে মেলার উদ্বোধনের আগে বিগ বাডর্ বাংলাদেশ অ্যাওয়াডর্, কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়াডর্ ও সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন্স অ্যাওয়াডর্ ২০১৯ দেয়া হয়। নতুন ও দুলর্ভ প্রজাতির পাখির সন্ধান পাওয়ায় এবার বিগ বাডর্ বাংলাদেশ অ্যাওয়াডর্ পেয়েছেন যথাক্রমে শফিকুর রহমান শুভ্র, মো. কায়েস ও তৌকির হাসান হৃদয়। কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়াডর্ পেয়েছেন রাহুল এম ইউসুফ, আদিব মুমিন আরিফ ও আব্দুল্লাহ আল ওয়াহিদ। এ ছাড়া সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন অ্যাওয়াডর্ পেয়েছেন মুনতাছির আকাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্ অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম তাদের হাতে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন। দিনব্যাপী এ পাখি মেলার আয়োজনের মধ্যে রয়েছেÑ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদশর্নী, শিশু-কিশোরদের পাখির ছবি অঁাকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলার দিয়ে শিশু-কিশোরদের পাখি পযের্বক্ষণ, স্টল সাজানো প্রতিযোগিতা, অডিও-ভিডিওয়ের মাধ্যমে পাখিচেনা প্রতিযোগিতা, পাখিবিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান। ২০০১ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এ পাখি মেলার আয়োজন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার। তারই ধারাবাহিতায় এবারও পাখি মেলার আয়োজন করা হয়েছে।