ভোটের রাতে ধষের্ণ আরও একজন কুমিল্লায় গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নোয়াখালীর সুবণর্চরে ভোটের রাতে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধষের্ণর ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হেঞ্জু মাঝি (২৯) সুবণর্চর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের চঁান মিয়ার ছেলে। শুক্রবার ভোরে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. আবুল খায়ের জানান। গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে সুবণর্চরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোধ্বর্ এক নারীকে ধষের্ণর অভিযোগ ওঠে। চরজব্বার থানায় ওই নারীর স্বামীর দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা তার বসতঘরে ভাঙচুর করে, ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে এবং সন্তানসহ তাকে বেঁধে রেখে দলবেঁধে ধষর্ণ করে তার স্ত্রীকে। এ মামলার এজাহারে আসামি না হলেও পুলিশের তদন্ত এবং আসামিদের জবানবন্দিতে হেঞ্জু মাঝির জড়িত থাকার প্রমাণ উঠে আসে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাকে নিয়ে এ মামলায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। ওসি বলেন, ‘ঘটনার পর হেঞ্জুু এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বাসের চালকের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করে। গোপন খবরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।’ হেঞ্জুুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে এ পুলিশ কমর্কতার্ জানান। ওই নারীর অভিযোগ, ভোটের সময় নৌকার সমথর্কদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে সুবণর্চর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধষর্ণ করে। মামলার এজাহারে মোট নয়জনকে আসামি করা হলেও সেখানে চর জুবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়াডের্র সাবেক সদস্য রুহুল আমিনের নাম না থাকায় বুধবার রাতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে হতাশা প্রকাশ করেন ওই নারী। এরপর সেই রাতেই জেলা সদরের একটি হঁাস-মুরগির খামার থেকে রুহুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ডাক্তারী পরীক্ষায় ওই নারীকে ধষের্ণর আলামত পাওয়া গেছে জানিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে মেডিকেল বোডর্। নোয়াখালী হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বাদশা আলম বাসু, রুহুল আমিন, জসিম উদ্দিন, হাসান আলী ভুলু, মো. সোহেল, স্বপন, বেচু ও মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পঁাচদিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।