শীতে গ্যাস লাইনে তেল, গ্যাস সংকটে চট্টগ্রাম

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
প্রতি বছরের মতো এবারও শীতে নগরে গ্যাস সংকটে দুভোর্গ বেড়েছে। বিশেষ করে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পযর্ন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকায় দুভোর্গ পোহাচ্ছে নগরবাসী। কণর্ফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কমর্কতার্রা জানান, শীতকালে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় গ্যাসের ব্যবহার বেশি। এসময় বাসাবাড়িতে ২০ শতাংশ বাড়তি গ্যাস ব্যবহার হয়। গরম পানির ব্যবহার বেশি হওয়ার ফলে ,গ্যাসের চুলার ব্যবহারও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া শীতে তাপমাত্রা কম থাকায় গ্যাসের স্বাভাবিক যে প্রবাহ তা ঠিক থাকে না। গ্যাসের লাইনে এ সময় তেল জাতীয় পদাথর্ জমে যায় এবং গ্যাস ঘন হয়ে যায়। আর গ্যাসের প্রবাহ কমে যাওয়ায় তৈরি হয় গ্যাস সংকট। এজন্য এই সময়ে সংকটও বেশি। ফলে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় এই গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। বতর্মানে চট্টগ্রামে দৈনিক গড়ে গ্যাসের চাহিদা ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু এর বিপরীতে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। খেঁাজ নিয়ে জানা যায়, নগরের হালিশহর, কোতোয়ালি, বাকলিয়া, চান্দগঁাও, চকবাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। নগরের জামালখান, রহমতগঞ্জ, আসকারদীঘির পাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় সকাল ১০টার পর গ্যাসের চাপ একেবারে কমে আসছে। দুপুর ২টার পর আবার ধীরে ধীরে তা স্বাভাবিক হয়। হালিশহর এলাকার বাসিন্দা রিমা আকতার বলেন, শীত আসার পর থেকেই গ্যাসের চাপ কমে গেছে। রান্না করতে হয় দুপুরের পর। কেজিডিসিএলের কমর্কতার্ মোহময় দত্ত বলেন, শীত মৌসুমে গ্যাসের চাহিদা বাড়ে। ঠাÐায় গ্যাসের লাইনে তেল জাতীয় পদাথর্ জমে যাওয়ায় এ সময় গ্যাসের চাপ কমে যায়। তাই ঘনবসতিপূণর্ এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকে।