বিআরটিএতে দুদকের অভিযান

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:৪৫

যাযাদি রিপোটর্
দুনীির্ত দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ কেন্দ্রে (১০৬) পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতৃর্পক্ষের (বিআরটিএ) ইকুরিয়া কাযার্লয়ে সঁাড়াশি অভিযান চালিয়েছে সংস্থা। বুধবার পঁাচ ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান চালানো হয়। সূত্র জানায়, বিআরটিএর ইকুরিয়া কাযার্লয়ে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস দেয়ার সময় বিপুল পরিমাণে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ আসে দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপ-পরিচালক খায়রুল হুদার নেতৃত্বে পুলিশসহ ৯ সদস্যের একটি দল সেখানে আকস্মিক অভিযান চালায়। জানা গেছে, দুদক কমর্কতাের্দর উপস্থিত হওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অবস্থানরত দালালরা পালিয়ে যান। সরেজমিনে দুদকের দলটি দেখতে পায়, ২০০২ সালের আগের পুরনো ও অচল অসংখ্য মিশুক বেআইনিভাবে সিএনজি করার প্রক্রিয়া চলেছে। সেখানে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আনা বেশ কিছু মিশুকে ভুয়া চেসিস নম্বর লাগানো ছিল। এ অনিয়ম দেখে দুদক টিম তাৎক্ষণিকভাবে এ বেআইনি কাযর্ক্রম বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া দুদক দলের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্স পাওয়ার জন্য দীঘর্ক্ষণ অপেক্ষায় থাকা আটটি যানবাহনকে পরীক্ষা করে তাৎক্ষণিক ফিটনেস দেয়া হয়। এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে জনসচেতনতার জন্য সেখানে দুনীির্তবিরোধী স্টিকার ও লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং মাইকিং করে যেকোনো দুনীির্ত-হয়রানি তাৎক্ষণিকভাবে দুদক হটলাইনে (১০৬) জানানোর অনুরোধ করা হয়। প্রায় পঁাচ ঘণ্টার এ অভিযান শেষে এনফোসের্মন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী জানান, বিআরটিএকে অবশ্যই দুনীির্তর কবল থেকে মুক্ত করে নিবির্ঘœ সেবা দেয়া নিশ্চিত করতে হবে। বিআরটিএ কতৃর্পক্ষ নিজেদের অফিস দালালমুক্ত না করলে কমর্কতাের্দর বিরুদ্ধে দুদক কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।