সুবণর্চরে ধষের্ণ আরও স্বীকারোক্তি

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নোয়াখালীর সুবণর্চরে ভোটের রাতে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধষের্ণর মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আরেকজন। শনিবার বিকালে জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শোয়েব উদ্দিন খান গ্রেপ্তার হেঞ্জু মাঝির (২৯) জবানবন্দি রেকডর্ করেন। হেঞ্জু মাঝি সুবণর্চর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যবাগ্যা গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে। এ নিয়ে এই মামলায় গ্রেপ্তার ১১ জনের মধ্যে সাতজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আবুল খায়ের বলেন, শুক্রবার ভোরে জেলা কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে এই ঘটনায় জড়িত হেঞ্জু মাঝিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। ‘এরপর জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হলে শনিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।’ ওসি বলেন, পুলিশের তদন্ত, ভুক্তভোগী এবং ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার আসামিদের জবানবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে তার নাম উঠে আসে। ঘটনার পর সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহী বাসে চালকের সহকারী হিসেবে কাজে যোগ দেয়। তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার ভোরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে বলে তিনি জানান। গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে সুবণর্চরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোধর্ ওই নারীকে ধষর্ণ করা হয়। ওই নারীর অভিযোগ, ভোটের সময় নৌকার সমথর্কদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে সুবণর্চর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধষর্ণ করে। চাঞ্চল্যকর এই মামলায় রুহুল আমিনসহ এ পযর্ন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।