ইজতেমা নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করার সময় এসেছে:যুব প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

গাজীপুর প্রতিনিধি
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, 'এ বছর শুরুর আগের দিনই বিশ্ব ইজতেমায় বিপুলসংখ্যক মুসলিস্নদের অংশগ্রহণের কারণে ইজতেমা ময়দানে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। ইজতেমায় জনসমাগম বাড়ার ইজতেমা নিয়ে অবশ্যই নতুনভাবে চিন্তা করার সময় এসেছে। আমরা অবশ্যই নতুন করে ভাবব যাতে আগামী বছর মুসলিস্নদের কষ্ট না হয়। জনসমাগম যদি বেশিও হয়, তারপরও আমরা কিভাবে বাই-রোটেশনে সেটা করতে পারি তা অবশ্যই চিন্তা করব।' বৃহস্পতিবার বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের উত্তর পাশে মুসলিস্নদের জন্য স্থাপিত হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, 'আগের মতো করে ৬৪ জেলার অর্ধেক এক পর্বে বাকি অর্ধেক জেলার মুসলিস্নদের জন্য অপর পর্বে করা যায় কি-না তা নিয়ে ইজতেমার দুই পক্ষের মুরুব্বিদের সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু ইজতেমায় দুই গ্রম্নপ এবং দুই পর্বেই সব জেলার মুসলিস্নদের অংশ নেওয়ার ফলে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। আমাদের কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। ইজতেমায় যেভাবে জনসমাগম বাড়ছে সেটি নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করার সময় এখন এসেছে।' অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হামদর্দ ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাহবুবুল আলম চৌধুরী। ফাউন্ডেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপনা পরিচালক হাকিম মো. জামাল উদ্দিন রাসেলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন) মো. ওয়াহিদ হোসেন, কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরু। ওই এলাকায় গাজীপুর সিভিল সার্জন, ইবনে সিনা, ইসলামিক মিশন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন,র্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করেছে। সেখান থেকে বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষ হবে। ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্বের নেতৃত্ব্বে আছেন আলেম-ওলামা গ্রম্নপের যোবায়েরপন্থি অনুসারীরা। দ্বিতীয় পর্বের নেতৃত্বে থাকবেন আদি তাবলিগ জামাতের নয়া দিলিস্নর মুরব্বি মাওলানা সাদপন্থি গ্রম্নপের অনুসারী মুসলিস্নরা।