রাজশাহী সিটি নিবার্চন

দুদিনে লিটনের খরচ ৪ কোটি, দাবি বুলবুলের

বুলবুল অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতা-কমীের্দর ঘরে ঘরে অভিযান চালিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। নতুন মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

রাজশাহী অফিস
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নিবার্চনে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন বিএনপির মেয়রপ্রাথীর্ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রাথীর্ এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন Ñযাযাদি
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নিবার্চনে আওয়ামী লীগের প্রাথীর্ এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুুলেছেন বিএনপির মেয়রপ্রাথীর্ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর বিএনপির কাযার্লয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন তোলেন বুলবুল। তিনি লিটনের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘একজন প্রাথীর্ প্রচার শুরুর প্রথম দুদিনে চার কোটি টাকার পোস্টার, প্লাকাডর্ ও ফেস্টুন লাগিয়েছেন। তাকে প্রশ্ন করতে চাই, কে দিল এত টাকা? আমরা জানি, ইয়াবা গডফাদারদের সঙ্গে তাদের সম্পকর্ রয়েছে।’ বিএনপির মেয়রপ্রাথীর্ অভিযোগ করেন, রাজশাহীতে হাইব্রিড আওয়ামী লীগ বিএনপির কমীের্দর সঙ্গে এমন আচরণ করছে, যা দুবির্ষহ ও নিমর্ম। তাদের চাপের কারণে গণমাধ্যমও সঠিকভাবে এই নিযার্তনের চিত্র তুলে ধরতে পারছে না। বুলবুল অভিযোগ করেন, বিশেষ একটি জেলার অতি উৎসাহী পুলিশ দিয়ে বিএনপির নেতা-কমীের্দর ওপর নিযার্তন করা হচ্ছে। রাজশাহীর পুলিশ এগুলো করছে না। তিনি নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। বুলবুল বলেন, বিএনপির নেতা-কমীের্দর ঘরে ঘরে অভিযান চালিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। নতুন মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নগরীতে কোনো বোমা বা ককটেল ফাটার আওয়াজ কেউ শোনেনি। অথচ নেতা-কমীের্দর গ্রেপ্তার করে বোমাবাজির মামলা দিয়েছে পুলিশ। তিনি বিএনপি নেতা-কমীের্দর নামে যে বোমাবাজির মামলা দেয়া হয়েছে, সেটার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। সিটি করপোরেশনের কমর্চারীদের খায়রুজ্জামান লিটনের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়ে তার পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বুলবুল। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেন, গত কয়েক দিনে তাদের ২৯ জন নেতা-কমীের্ক পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শত শত নেতা-কমীের্ক ধরার জন্য অভিযান চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, যতই বাধা দিক, পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার-হয়রানি করুক সরকার, তারপরও বিএনপির নেতা-কমীর্রা জীবন বাজি রেখে নিবার্চন করবেন। শেষ পযর্ন্ত নিবার্চনে থাকবেন। বিজয় ছিনিয়ে আনবেন। ১৯৭৩ সালেও রাজশাহীতে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। এটা মনে রাখতে হবে। মিনু বলেন, খুলনা ও গাজীপুর নিবার্চনের পরে তারা রাজশাহীতে নিবার্চনের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ আশা করেছিলেন। কিন্তু এই নিবার্চন কমিশন নিবার্চনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে শতভাগ ব্যথর্ হয়েছে। রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক বলেন, গত রাতে অলকার মোড়ে পোস্টার লাগানোর সময় তাদের একজন কমীের্ক সরকারি দলের লোকজন মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রাথীর্র প্রধান নিবার্চনী এজেন্ট জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনসহ দলের বিভিন্ন পযাের্য়র নেতা-কমীর্রা উপস্থিত ছিলেন।