যশোর উপজেলা চেয়ারম্যানের ৬ বছরের জেল

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সাবিরা সুলতানা
ঢাকার একটি দুনীির্তর মামলায় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদÐাদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় সাবিরা আদালতে হাজির ছিলেন না। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। দুনীির্ত দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, আসামি সাবিরার এক কোটি ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছে আদালত। সাবিরার বিরুদ্ধে জ্ঞাতআয়বহিভ‚র্ত সম্পদ অজের্নর অভিযোগ ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। দুদক কেঁৗসুলি সালাম জানান, রাজধানীতে সাবিরা একটি ফ্ল্যাটের ও শপিং মল দোকানের মালিক। এসব সম্পত্তির সঠিক দাম সম্পদ বিবরণীতে দেখাননি তিনি। সম্পদ থাকার তথ্য তিনি গোপন করেছেন। আদালত সূত্র বলছে, সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার জন্য সাবিরাকে ২০০৯ সালে নোটিশ দেয় দুদক। দুদকের ডাকে সাড়া দিয়ে সাবিরা তার সম্পদের হিসাব জমা দেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাবিরার জমা দেয়া সম্পদের হিসাব পযাের্লাচনা করে দুদক দেখতে পায়, ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকা সম্পদের হিসাব ভুয়া। চ‚ড়ান্তভাবে দুদক দেখে, ৪৫ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য দিয়েছেন সাবিরা। অথচ তিনি এক কোটি ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকার সমপরিমাণ সম্পদের মালিক। ২০১০ সালে দুদক সাবিরার বিরুদ্ধে ঢাকার ধানমণ্ডি থানায় মামলা করে। পরের বছর তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল আদালত এই রায় ঘোষণা করে। দুদকের আদালত পরিদশর্ক আশিকুর রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানা সব সময় আদালতে হাজির থাকতেন। যুক্তিতকর্ শুনানির সময় তিনি আদালতে হাজির ছিলেন অথচ রায় ঘোষণার দিন আদালতে হাজির হননি।