বাণিজ্যমেলায় গৃহস্থালি পণ্যের রমরমা বিক্রি

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বাণিজ্যমেলায় কেনাকাটায় ব্যস্ত দুই নারী
সপ্তম দিনেও জমে ওঠেনি ঢাকা আন্তজাির্তক বাণিজ্যমেলার কেনাকাটা। ক্রেতা টানতে লোভনীয় অফার আর ছাড়ের ব্যবস্থা রেখেছে স্টলগুলো। তবে ব্যতিক্রম গৃহস্থালি পণ্যের প্যাভিলিয়ন। মেলার প্রথম দিন থেকেই রমরমা বিক্রি হচ্ছে গৃহস্থালি পণ্য। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই বেড়ে চলেছে গৃহস্থালি পণ্যের কেনাবেচা। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগঁাওয়ে বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অন্যদিনের তুলনায় মেলায় দশর্নাথীর্র উপস্থিতি ছিল কিছুটা কম। বিক্রি নেই স্টলগুলোতে। যারা মেলায় এসেছেন তাদের বেশিরভাগই দশর্নাথীর্। তবে অন্যদিনের মতো মঙ্গলবারও বেচা-বিক্রি ভালো ছিল গৃহস্থালি প্যাভিলিয়নে। ক্রেতা-দশর্নাথীর্র একটা বড় অংশের চোখে পড়ছে এখানে। যেকোনো গৃহস্থালি পণ্য কিনলেই পাওয়া যাচ্ছে অফার। তাছাড়া ছাড় তো আছেই। বিক্রেতারাও বলছেন, মেলার প্রথম দিন থেকেই সাড়া পাচ্ছেন তারা। তাদের আশা, ভালো রাজনৈতিক পরিবেশ আর দশর্নাথীর্র সাড়া থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় বিক্রির পরিমাণ এবার ভালো হবে। মূলত ছাড়, অফার আর অতি প্রয়োজনীয় পণ্য হওয়ায় লুফে নিচ্ছেন ক্রেতারা। মেলায় কিয়াম পণ্যে রয়েছে বান্ডিল অফার। এক সেট গৃহস্থালি পণ্য কিনলেই পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ অফার। সঙ্গে আছে শো-রুমের চেয়ে কম মূল্যে পণ্য কেনার সুযোগ। ইতালিয়ানো প্যাভিলিয়নে পণ্যভেদে ৫ থেকে ১০ শতাংশ ছাড়। ছাড় চলছে প্রাণ-আরএফএল’র সব স্টলে। ২৯ শতাংশ পযর্ন্ত ছাড় দিচ্ছে কোম্পানিটি। কারখানার দামেই পণ্য কেনার সুযোগসহ বিশেষ ছাড় দিচ্ছে ওয়ালট প্যাভিলিয়ন। ইরানি স্টলেও চলছে বান্ডিল অফার। শুধু মেলা উপলক্ষে এখানে কারখানার মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে সব পণ্য। আনোয়ারা বেগম শান্তিনগর থেকে গৃহস্থালি পণ্য কিনতে বাণিজ্যমেলায় এসেছেন। তিনি বলেন, ‘মেলায় এসেছি পণ্য কিনতে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভিড় থাকে তাই ওয়াকির্ং ডে বেছে নেয়া। বাসার প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হয়েছে। মেলায় পণ্যের দাম কম আবার সব কোম্পানির পণ্য দেখে নেয়ার সুযোগ আছে তাই এখানে আসা।’ আয়েশা খানম নামে অপর এক ক্রেতা বলেন, ‘বিভিন্ন ছাড়ের কথা শুনে এখানে এসেছি, কেনা-কাটা করছি। বছরের একটি সময় মেলা উপলক্ষে কোম্পানিগুলো নতুন নতুন পণ্য আনে, আবার দামও কম। তাই প্রতিবারের মতো এবারও এসেছি।’ প্রাণ ইতালিয়ানো প্যাভিলিয়নের সেলস এক্সিকিউটিভ ইফতেখার বলেন, ‘আমরা বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে মেলার মাঠে ক্রেতাদের কেনাকাটা সহজ করে দেই। এখানে ক্রেতারা কম মূল্য দেখে পণ্য কিনতে পারছেন। তাছাড়া ৫ থেকে ১০ শতাংশ পযর্ন্ত ছাড় চলছে। আগামীতে আরও অফার আসবে।’ ইরানীয় প্যাভিলিয়নের সেলস এক্সিকিউটিভ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর মেলায় অংশ নেই। এবার নতুন নতুন পণ্য এসেছে নতুন সাজে। কারখানা মূল্যে ক্রেতাদের তুলে দিচ্ছি পণ্য। তাছাড়া একসঙ্গে কয়েকটা পণ্য কিনলে থাকছে একটি পণ্য ফ্রি।’