এ সরকারকে পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে

কোকোর মৃতু্যবার্ষিকীর কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কোরআন খতম, মিলাদ মাহফিল, দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অষ্টম মৃতু্যবার্ষিকী পালন করেছেন নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে বনানী কবরস্থানে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই, সংগ্রাম করছে। দলের অসংখ্য নেতাকর্মী আজ কারাগারে বন্দি। চলমান আন্দোলনে ১৫ নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। জনগণ আজ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে তারা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হলেও কোকো রাজনীতিবিদ ছিলেন না। একজন ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। কিন্তু তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মৃতু্যবরণ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, এ দেশে রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় ১/১১ ঘটনার পরে আরাফাত রহমান কোকোকে গ্রেপ্তার করা। মিথ্যা মামলায় মিথ্যা অজুহাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরাফাত রহমান কোকো একজন অসাধারণ ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। খালেদা জিয়ার সবচেয়ে আদরের ছেলে ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। অথচ, কী করুণ অবস্থায় তাকে (কোকো) মৃতু্যবরণ করতে হয়েছে। বিদেশের মাটিতে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে তাকে চলে যেতে হয়েছে। এই পরিবার (জিয়া) এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এই পরিবার এ দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উলস্নাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, মীর সরাফত আলী সপু, নাজিমুদ্দিন আলম, নবী উলস্নাহ নবী, যুবদলের মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্নাসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। এদিকে দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আরাফাত রহমান কোকো এ সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এ কারণে তাকে অকালে মৃতু্যবরণ করতে হয়েছে। \হদোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উলস্নাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান প্রমুখ।