ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে বদলি ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলাম চৌধুরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই দুই বিচারকের আদালত ছাড়া অন্য আদালতগুলোয় বিচারিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইনজীবীরা। মঙ্গলবার বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার পর বিকালে আইনজীবীরা সাধারণ সভা করে এই সময়সীমা আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করেন।
সভা শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান দুই আদালতের বিষয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তারা বলেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত দুই বিচারকের আদালতে যাবেন না আইনজীবীরা।
এর আগে ১৫ জানুয়ারি থেকে আইনজীবীরা জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত ছাড়া সব আদালতে ফিরে যান। এতে আদালতের অচলাবস্থা দূর হয়।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান সভাপতি তানভীর ভূঞাকে প্রধান করে ২১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরবর্তী করণীয় বিষয়ে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সবাই তা মেনে নেবেন।
উলেস্নখ্য, শীতকালীন ছুটির আগে ১ ডিসেম্বর আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওইদিন তিনটি মামলা না নেওয়ায় ১ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। এরপর ২ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ৫ জানুয়ারি আইনজীবীরা তিন কার্যদিবসের কর্মবিরতির ডাক দেন। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ছয় কার্যদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এর আগে ৪ জানুয়ারি এক দিনের কর্মবিরতি পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। এতে আদালতে অচলাবস্থার তৈরি হয়েছিল।