৯৯৯-এ ফোন: তিন ঘণ্টায় আটক দুই অপহরণকারী

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তথ্য দেয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত দুই অপরহণকারীকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন তৌফিকুর রহমান (২৫) ও শরিফুল ইসলাম (২৬)। ভুক্তভোগী শহীদুল ইসলামের (৪০) শ্যালক গোলাম সরওয়ারের ফোনে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধানমÐি থানা পুলিশ ওই দুইজনকে আটক করে। ধানমÐি থানা পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আটকদের বিরুদ্ধে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এ ব্যাপারে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পুলিশ সুপার মো. তবারক উল্লাহ বলেন, ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে একটি ফোন আসে। ফোনে শহীদুল নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি আমরা দ্রæত ধানমন্ডি থানায় জানিয়ে দিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলি। ১০ মিনিটের মধ্যে পুলিশ অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তিন ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে সমথর্ হয়।’ ভুক্তভোগী শহীদুলের শ্যালক গোলাম সরওয়ার জানান, দুলাভাই কুমিল্লা থাকেন ও ব্যবসা করেন। লিভারে অসুস্থতা নিয়ে তিনি বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইনজেকশন নেয়ার জন্য ধানমÐির একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। হাসপাতালের ছয়তলা থেকেই অপহরণকারী তাকে নিচে নিয়ে আসেন। পরে কালো মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যান। শহীদুলের কাছে থাকা ৪৫ হাজার টাকা ও ৫০ হাজার টাকার একটি চেক কেড়ে নেয় অপহরণকারীরা। পরে আসামিরাই শহীদুলের মুঠোফোন থেকে তার শ্যালক গোলাম সরওয়ারকে ফোন করে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চান। টাকা না দিলে শহীদুলকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। গোলাম সরওয়ার জানান, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ চাওয়ার পর তিনি ‘৯৯৯’-এ ফোন করে পুরো ঘটনা পুলিশকে জানান। ফোন করার ১০ মিনিটের মাথায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ধানমÐি থানার উপ-পরিদশর্ক (এসআই) আবদুস সবুর খান বলেন, ‘ফোন পেয়ে তারা ভুক্তভোগী শহীদুলকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী চক্রের সদস্য তৌফিকুর ও শরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ ধানমÐি থানা পুলিশ জানায়, পঁাচদিন রিমান্ড চেয়ে দুই আসামিকে আদালতে সোপদর্ করা হলে শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।