শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টানা সপ্তম জয় কুমিলস্নার

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
দুর্দান্ত ফর্মে আছেন কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্সের পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই ক্রিকেটারের চতুর্থ ফিফটির দিনে টানা সাত জয় তুলে নিয়েছে কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্স -ওয়েবসাইট

দুর্দান্ত ফর্মে আছেন কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্সের পাকিস্তানি রিক্রুট মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের চতুর্থ ফিফটির দিনে টানা সাত জয় তুলে নিয়েছে কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্স। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্য এক ওভার এবং ৬ উইকেট হাতে রেখে জিতে নেয় ইমরুল কায়েসের কুমিলস্না। টুর্নামেন্টের শুরুতে জয়ের খোঁজে হাঁপিত্যেশ করা কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্স এখন যেন অজেয় হয়ে গেছে। পরপর তিন হারে আসর শুরুর পর টানা সাত ম্যাচ জয় পেল বিপিএলের শিরোপাধারীরা।

কুমিলস্নার জয়রথে বড় অবদান মোহাম্মদ রিজওয়ানের। টানা তৃতীয় ফিফটিতে ৪৭ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি কিপার-ব্যাটার। তার হাতেই উঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

এই ম্যাচসহ প্রথম পর্বে বাকি ছিল ছয়টি খেলা। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে এত ম্যাচ বাকি থাকতেই

শেষ চার দল চূড়ান্ত হওয়া অভাবনীয়ই বটে। যে কারণে বাদ পড়া তিন দলের জন্য বাকি সব ম্যাচ স্রেফ নিয়ম রক্ষার।

এর প্রভাব পড়েছে দর্শক আগ্রহেও। শুক্রবার প্রায় ঠাসা ছিল শের-ই-বাংলার গ্যালারি। কিন্তু পরদিনই স্টেডিয়াম অর্ধেকের বেশি খালি। এই ম্যাচে আগেই বাদ পড়া চট্টগ্রামের বেশি কিছু পাওয়ার না থাকলেও কুমিলস্নার সামনে ছিল অর্জনের হাতছানি, যা পূরণও করে তারা।

৭ জয়ে পাওয়া ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে রয়েছে কুমিলস্না। নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে দুই নম্বরে ফরচুন বরিশাল। শীর্ষে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সেও ঝুলিতে আছে ১৬ পয়েন্ট। এই তিন দলই খেলেছে ১০টি করে ম্যাচ।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এদিন দুই দলই নিজেদের দশম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামে। এর মধ্যে ২ জয় পাওয়া চট্টগ্রাম এই ম্যাচে মাঠে নামার আগেই বাদ পড়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে কুমিলস্না টানা ছয় জয় নিয়ে নিশ্চিত করে ফেলেছিল পেস্ন অফ।

নিয়ম রক্ষার এই ম্যাচে অবশ্য টসে জিতেছে চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম। টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রথমে ব্যাটিং করে আফিফ হোসেন এবং উসমান খানের ফিফটিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তোলে চট্টগ্রাম।

আফিফ করেন চট্টগ্রামের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৬ রান। ৪৯ বল থেকে ৬টি চার ও ২ ছয়ে এই রান করেন তিনি। এ ছাড়া উসমান করেন ৪১ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে ৫২ রান। শেষদিকে দারউইশ রাসুলি করেন ৯ বলে অপরাজিত ২১ রান।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে কুমিলস্না। ওপেনিংয়ে নামা সৈকত আলী এবং অধিনায়ক ইমরুল ফেরেন ১৫ রান করে। চারে নামা জনসন চার্লসের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৯ রান। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭৬ রান যোগ করে মোসাদ্দেক এবং রিজওয়ান ম্যাচ নিজেদের দিকে টেনে নেয়।

নিজের চতুর্থ ফিফটি তুলে নিয়ে রিজওয়ান ৪৭ বলে ৫টি চার ও ২টি ছয়ে ৬১ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটিটি। রিজওয়ান ফিরলেও ২৭ বলে ৩টি চার ও ১টি ছয়ে মোসাদ্দেক ৩৭ রান করে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। চট্টগ্রামের পক্ষে জিয়াউর রহমান এবং মৃতু্যঞ্জয় ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ২০ ওভারে ১৫৬/৭ (মারুফ ০, উসমান ৫২, নাফে ২, আফিফ ৬৬, শুভাগত ১২, ক্যাম্ফার ০, জিয়াউর ০, রাসুলি ২০*, মৃতু্যঞ্জয় ১*; তানভির ২/২৭, আবরার ০/২২, হাসান ২/২৫, মুস্তাফিজ ০/৪৪, সৈকত ১/২৬, মোসাদ্দেক ০/১১)।

কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্স : ১৯ ওভারে ১৫৭/৪ (সৈকত ১৫, রিজওয়ান ৬১, ইমরুল ১৫, চার্লস ৯, মোসাদ্দেক ৩৭*, জাকের ১০*; মৃতু্যঞ্জয় ২/৩৫, নিহাদউজ্জামান ০/৩১, মেহেদি ০/১৭, ক্যাম্ফার ০/৪৭, জিয়াউর ২/২৭)।

ফল : কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্স ৬ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা : মোহাম্মদ রিজওয়ান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে