নোয়াখালীতে আবার গণধষের্ণর অভিযোগ

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সুবণর্চর উপজেলায় গণধষের্ণর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে জেলার কবিরহাট উপজেলায় একই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন এক নারী। তিন সন্তানের জননী এক নারী (২৯) পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাতে তিন ব্যক্তি তার ঘরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তিন সন্তানসহ তাকে জিম্মি করে ধষর্ণ করেন। এরপর তারা পালিয়ে যান। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে জাকের হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। ধষের্ণর অভিযোগ করা ওই নারীর তথ্যের বরাতে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) মিজার্ মো. হাছান শনিবার বেলা একটায় বলেন, দুপুর ১২টার দিকে এক নারী থানায় এসে অভিযোগ করেন, শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে একই এলাকার জাকের হোসেনসহ তিন ব্যক্তি তার ঘরে ঢুকে তাকে ধষর্ণ করে পালিয়ে যান। ওসি বলেন, ওই নারীর তথ্যমতে, তার স্বামী একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন নোয়াখালী কারাগারে বন্দি। বাড়িতে স্বামী না থাকার সুযোগে ওই ব্যক্তিরা ঘরে ঢুকে তাকে ধষর্ণ করেন। এর মধ্যে তিনি জাকের হোসেন নামের একজনকে চিনতে পেরেছেন। ধষের্ণর অভিযোগ করা নারীর স্বামী কোন মামলায় কারাগারে, তা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি ওসি হাছান। ওসি মিজার্ হাছান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে জাকের হোসেনকে (২৮) আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধষের্ণর অভিযোগ করা ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মিজার্ হাছান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধষের্ণর শিকার ওই নারী রাতেই আশপাশের লোকজনকে ঘটনাটি জানান এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনের নাম বলেন। পরে তিনি নিজেই থানায় গিয়ে ঘটনার বণর্না করেন। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের ভোট গ্রহণের রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে সুবণর্চরের এক নারীকে মারধর ও ধষর্ণ করা হয়। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভতির্ করা হয়। একই দিন তার স্বামী বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বার থানায় মামলা করেন। এর মধ্যে এজাহারে নাম থাকা ছয়জন এবং বাকি পঁাচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। গত বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ছেড়ে যান ওই নারী। ধষের্ণর শিকার সুবণর্চরের ওই নারী অভিযোগ করেন, ধানের শীষে ভোট দেয়ার কারণে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এরপর ওই দিনই রাতে তার স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই নারীকে ধষর্ণ করা হয়।