পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার কোটি টাকা

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স তিন মাস ছয়দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। এবার দানবাক্স খুলে ১ কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৩ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও পাওয়া গেছে সোনা, রুপা ও বৈদেশিক মুদ্রা। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমর্কতাের্দর উপস্থিতিতে দানবাক্সটি খোলা হয়। দানবাক্স খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ। বিকালে গণনা শেষে দানের এ টাকার হিসাব পাওয়া যায়। টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের তত্ত¡াবধানে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজির হোসেন, মো. শরীফুল আলম ও সাগুফতা হকসহ প্রশাসনের অন্যান্য কমর্কতার্, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সাবর্ক্ষণিক দায়িত্বরত কমর্কতার্-কমর্চারীরা। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, তিন মাস পরপর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার তিন মাস ছয় দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। পরে টাকাগুলো গুনে নগদ ১ কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৩ টাকা পাওয়া যায়। তিনি আরও জানান, এই মসজিদের যখন দানবাক্স খোলা হয়, তখন সাধারণত এক কোটি টাকার কাছাকাছি পাওয়া যায়। এবারও ১ কোটি টাকার উপরে পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। আর যে স্বণার্লঙ্কার পাওয়া গেছে তা আগের স্বণার্লঙ্কারের সঙ্গে যোগ করে সিন্দুকে রেখে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দানে পাওয়া গবাদিপশু ছাগল, হঁাস-মুরগি প্রতি সপ্তাহেই নিধাির্রত দিনে নিলামে বিক্রি করা হয়। সবের্শষ গত বছরের ১৩ অক্টোবর মসজিদের দানবাক্স খুলে গণনা করে ১ কোটি ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮৫ টাকা পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি। কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকষর্ণ করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূণর্ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন। দানবাক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামশের্ বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।