ফেব্রæয়ারিতে তফশিল

উপজেলা নিবার্চনের ব্যয় বরাদ্দ ৬৭৭ কোটি টাকা

মাচের্র প্রথম সপ্তাহ থেকে পঁাচ ধাপে প্রায় ৫শ’ উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে সদর উপজেলাগুলোর সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করবে নিবার্চন কমিশন

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭৭ কোটি টাকা। এ ব্যয় চতুথর্ উপজেলা নিবার্চনী ব্যয়ের প্রায় দ্বিগুণ। থোক বরাদ্দ থেকে নিবার্চনী ব্যয় মেটানো হবে। নিবার্চন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, ফেব্রæয়ারিতে তফসিল ঘোষণা করে মাচের্র প্রথম সপ্তাহ থেকে পঁাচ ধাপে প্রায় ৫শ’ উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শুরু করা হবে। এ ক্ষেত্রে সদর উপজেলাগুলোর সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করবে নিবার্চন কমিশন। যে সব উপজেলার মেয়াদ পূণর্ হবে আরো পরে, সেগুলোতে পরবতীের্ত ভোটগ্রহণ হবে। নিবার্চন কমিশনের বাজেট শাখা থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালে চতুথর্ উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে পঁাচ ধাপে ভোটগ্রহণের জন্য ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছিল নিবার্চন কমিশন। এতে নিবার্চন পরিচালনা খাতে ১৫০ কোটি টাকা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে ১৮৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। ইসির বাজেট শাখার কমর্কতার্রা জানিয়েছেন, চতুথর্ উপজেলা নিবার্চনের জন্য থোক বরাদ্দ ছিল ৪০০ কোটি টাকা। পঁাচ ধাপের সেই নিবার্চনে মোট ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। নিবার্চন পরিচালনা খাতে ১৫০ কোটি ব্যয় করা হয়েছিল। এ খাতে ভোটগ্রহণ কমর্কতাের্দর ভাতা ১০০ কোটি টাকা আর রিটানির্ং কমর্কতার্, সহকারী রিটানির্ং কমর্কতার্, প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেটদের ভাতা বাবদ ৫০ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। নিবার্চনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার বাহিনীকে ৮০ কোটি টাকা, পুলিশ-র‌্যাবকে ৬৩ কোটি টাকা, সশস্ত্র বাহিনীকে ২৪ কোটি এবং বিজিবিকে ১৮ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল। সে সময় দেশের ৪৮৭ উপজেলার মধ্যে পঁাচ ধাপে মোট ৪৫৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়। বাকি উপজেলাগুলোতে মেয়াদ শেষে ভোটগ্রহণ হয়। সব মিলিয়ে সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকার মতো ব্যয় হয়েছিল। ইসির বাজেট শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, পঞ্চম উপজেলা পরিষদের জন্য এবার বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৭৭ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ থেকে ২২৫ কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে নিবার্চনী পরিচালনা খাতে। আর বাকিটা ব্যয় হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়। আগের চেয়ে সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় বরাদ্দও বেশি রাখা হয়েছে। ইসির মুদ্রণ শাখার কমর্কতার্রা জানিয়েছেন, একাদশ জাতীয় সংসদের নিবার্চনী উপকরণ দিয়েই উপজেলা নিবার্চনের অনেকটা অংশ পূরণ হবে। এ জন্য এ খাতে কিছুটা সাশ্রয় হবে। নিবার্চনী উপকরণের মধ্যে একটা বিরাট ব্যয় হবে ব্যালট পেপার ও বিভিন্ন মুদ্র্রণের জন্য। এ ছাড়া সিল, রশি, ব্যাগ ইত্যাদিও নতুন করে কিনতে হবে। ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি একযোগে ৪৮১ উপজেলায় ভোট হয়। সে সময় ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১৩৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে নিবার্চন পরিচালনায় ৬৪ কোটি ২৭ লাখ ১২ হাজার টাকা ও আইনশৃঙ্খলায় ৬৬ কোটি ৯৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। সে অনুযায়ী, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিবার্চন পরিচালনা ব্যয়ের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যয়ের হার ক্রমেই বাড়ছে। এদিকে ইভিএমে বিরাট আকারে ভোটগ্রহণ করলে মোট ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা, এ ক্ষেত্রে প্রায় ৭ হাজার ভোটকেন্দ্রের ২১ হাজার এবং ব্যাকআপ হিসেবে আরো ২১ হাজার অথার্ৎ প্রায় ৪২ হাজার ইভিএমের প্রয়োজন পড়বে। প্রতিটি ইভিএম কেনা হচ্ছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকায়। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে ইভিএম পরিচালনা ব্যয়। সবমিলিয়ে কেবল এই যন্ত্রে ভোটগ্রহণের জন্যই ব্যয় হবে প্রায় হাজার কোটি টাকা।