আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে: ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসার সঙ্গে সঙ্গে চালের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বর্গতি শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, “কথিত আছে ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই চাল ও লবণের মূল্য বৃদ্ধি পায়’। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।” শনিবার বিকালে রাজধানীর পল্টনে দলীয় কাযার্লয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি অভিযোগ করেন। মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘লবণের দাম না বাড়লেও খাদ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করার পর চালের দাম সামান্য কমেছে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সীমান্তে পেঁয়াজের কেজি ৪-৫ টাকায় বিক্রি হলেও ঢাকায় ক্রেতাদের কাছে তা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়।’ তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজি এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের অতি মুনাফালোভের কারণেই বাজারের এই ঊধ্বর্গতি। ফলে কৃষকরা তাদের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না, অন্যদিকে ক্রেতারাও ন্যায্য দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে পারছেন না। বাজারের এই মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা অতি দ্রæত নিয়ন্ত্রণে না আনলে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্বভোগীরা মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতাকে আগামী রমজান পযর্ন্ত টেনে নিয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাবে।’ আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দ্বিতীয় মেয়াদে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্যমন্ত্রীর ব্যথর্তা এবং খাদ্যমন্ত্রীর পচা গম আমদানির কেলেঙ্কারির কথা জনগণ এখনও ভোলেনি বলেও মন্তব্য করেন মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দুনীির্তর বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা দিয়েছেন। দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর কারসাজিও দুনীির্তর আওতায় আসে। এ ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা কাযর্কর হতে হবে। আর এটাই জনগণের দাবি।’ প্রধানমন্ত্রী ‘জিরো টলারেন্সে’র ঘোষণায় দৃঢ় থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জনগণ মনে করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলটির রাজনৈতিক উপদেষ্টা আশরাফ আলী আকন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।