সীমান্তে বসছে ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সীমান্তের স্পশর্কাতর এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে স্মাটর্ ডিজিটাল বডার্র সাভির্ল্যান্স অ্যান্ড ট্যাকটিক্যাল রেসপন্স সিস্টেম স্থাপিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১১৩ কিলোমিটার এলাকায় সাভির্ল্যান্স সিস্টেম স্থাপনের কাজ শেষ পযাের্য় রয়েছে। আরও ৯৬ কিলোমিটারে স্থাপনের জন্য ৩৬০ কোটি টাকা চেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব আবু নাছের ভ‚ঁঞা স্বাক্ষরিত অথর্ সচিব আবদুর রউফ তালুকদারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়েছে। অথির্বভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে ২০১৬-১৭ অথর্বছর হতে বডার্র গাডর্ বাংলাদেশ (বিজিবি) কতৃর্ক স্পশর্কাতর সীমান্ত এলাকায় স্মাটর্ ডিজিটাল বডার্র সাভির্ল্যান্স অ্যান্ড ট্যাকটিক্যাল রেসপন্স সিস্টেম স্থাপন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে যশোরের পুটখালী এবং কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ২৩ কিলোমিটার এলাকায় সাভির্ল্যান্স সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া টেকনাফের দমদমিয়া হতে উনচিলং, উনচিলং হতে পালংখালী, পালংখালী হতে ব্যাইশ ফঁাড়ি পযর্ন্ত ৪৫ কিলোমিটার, নওগঁার হাপানিয়া সীমান্তে ১৫ কিলোমিটার, দিনাজপুরের হিলি-কয়া ১৫ কিলোমিটার এবং চঁাপাইনবাবগঞ্জের মাসুদপুর-কয়া সীমান্তে ১৫ কিলোমিটারসহ সবের্মাট ৯০ কিলোমিটার এলাকায় সাভির্ল্যান্স সিস্টেম স্থাপনের কাযর্ক্রম প্রায় শেষ পযাের্য়। এই সিস্টেম স্থাপনের ফলে সীমান্তে নজরদারির মাধ্যম নারী ও শিশুপাচার রোধ; মাদক, অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক দ্রব্য ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামের চোরাচালান রোধ এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস দমন ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানায় বিজিবি। তারা বলছে, উল্লেখিত সাভির্ল্যান্স সিস্টেম স্থাপনের ফলে সীমান্তে যেকোনো ধরনের মুভমেন্ট-সম্পকির্ত ছবি ও ভিডিও সাভির্ল্যান্স সিস্টেম নিয়ন্ত্রণকক্ষের মনিটরে দেখা যাচ্ছে। চোরাচালান ও সন্দেহজনক মুভমেন্ট নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিজিবি অভিযান পরিচালনা করছে। তবে সীমান্ত এলাকায় রাস্তা বা পযার্প্ত যানবাহন না থাকায় অভিযান পরিচালনায় সময়ের প্রয়োজন হয়। ফলে চোরাকারবারি বা অপরাধীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ধরনের সুনিদির্ষ্ট অভিযান সফলতার সঙ্গে পরিচালনার জন্য ট্যাকটিক্যাল রেসপন্স সিস্টেম তথা পাবর্ত্য এলাকার জন্য বিশেষ যানবাহন, চরাঞ্চলের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ট্রাক্টর এবং হাওর, খাল-বিল ও জলাশয়ের জন্য এয়ারবোট প্রয়োজন মমের্ বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিজিবি আরও বলছে, পাশ্বর্বতীর্ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গতিবিধি পযাের্লাচনা এবং সাম্প্রতিক সময় রোহিঙ্গা শরণাথীের্দর প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং রেকডর্ভুক্তি নিশ্চিতের জন্য মিয়ানমার সীমান্ত বরাবর উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ডিজিটাল বডার্র সাভির্ল্যান্স অ্যান্ড ট্যাকটিক্যাল রেসপন্স সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা জরুরি। এ ছাড়া খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের গহিন দুগর্ম পাবর্ত্য সীমান্ত এলাকার আন্তঃরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস দমন, গোষ্ঠীগত সন্ত্রাস মোকাবিলা, একই সঙ্গে সাতক্ষীরার তলুইগাছা হতে চান্দুরিয়া পযর্ন্ত ২২ কিলোমিটার, যশোরের রঘুনাথপুর হতে পুটখালী পযর্ন্ত ২০ কিলোমিটার, রাজশাহীর বকচর হতে শ্যামনগর পযর্ন্ত ১৭ কিলোমিটার এবং কুমিল্লার আমানগÐা হতে জোয়ারকাচার পযর্ন্ত ৩৭ কিলোমিটারসহ সবের্মাট ৯৬ কিলোমিটার এলাকায় এই সিস্টেম স্থাপন করা প্রয়োজন। জানা গেছে, পূবের্ স্থাপিত ১১৩ কিলোমিটার এবং প্রস্তাবিত ৯৬ কিলোমিটার সাভির্ল্যান্স সিস্টেম হতে প্রাপ্ত তথ্যাদির আলোকে কাযর্কর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১০০টি বিশেষ যান, দুটি এয়ারবোট, দুটি র‌্যাপিড রেসপন্স অ্যান্ড পোটের্বল বডার্র সাভিের্লন্স সিস্টেম ক্যারিং যানবাহন, একটি মেনটেইন্যান্স অ্যান্ড ফাস্টর্ লাইন স্পেয়াসর্ ক্রয় করা হলে তা ফোসর্ মাল্টিপ্লেয়ার হিসেবে সীমান্ত ব্যবস্থাপনার কাযর্ক্রমকে অনেক গতিশীল করবে। জননিরাপত্তা বিভাগের সীমান্ত-১ অধিশাখা হতে বিজিবির আনুমানিক ৯৬ কিলোমিটার এলাকায় বডার্র সাভির্ল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম স্থাপন ও সম্প্রসারণের বিষয়ে (অথর্ বিভাগ হতে বাজেট প্রাপ্তির শতের্) প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয়। চলতি অথর্বছরের বাষির্ক ক্রয় পরিকল্পনা জননিরাপত্তা বিভাগ হতে এটি অনুমোদন করে নেয়ার জন্য সীমান্ত-১ অধিশাখা হতে বিজিবি কতৃর্পক্ষকে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া এই সিস্টেম স্থাপন ও সম্প্রসারণের জন্য চলতি অথর্বছরের সংশোধিত বাজেটে বিজিবির অনুক‚লে ৩৬০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ অথর্ সচিব বরাবর অনুরোধ জানিয়েছে।