মানিকগঞ্জে অপহরণের পর স্কুলছাত্রকে হত্যা

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রোববার মানিকগঞ্জের জালশুকা গ্রামের লেবুবাগান থেকে শিশু জুবায়ের হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা। ইনসেটে জুবায়ের Ñযাযাদি
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় তিনদিন আগে অপহৃত এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে র‌্যাব। রোববার সকালে উপজেলার জালশুকা গ্রামের এক লেবুবাগান থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয় বলে সাটুরিয়া থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান। জুবায়ের হোসেন নামের শিশুটি জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। সে ওই গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পর জুবায়ের বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খেঁাজাখুঁজি শুরু করে। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে থানায় জিডি করেন তার চাচা মোখলেছুর রহমান। মোখলেছুর জানান, শুক্রবার সকালে জুবায়েরের বাবাকে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ ও র‌্যাব অভিযান শুরু করে। ফোন নম্বরের সূত্র ধরে র‌্যাব-৪-এর একটি দল শনিবার রাতে মহিদুর রহমান নামের স্থানীয় এক যুবককে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার সকালে জুবায়েরের বাড়ির কাছে একটি লেবুবাগান থেকে ছেলেটির লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব সদস্যরা। ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা। র‌্যাব-৪ এর কমর্কতার্ মেজর আবদুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, শিশুটিকে অপহরণের পর তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছিল। মুক্তিপণ চাওয়ার সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে গত শনিবার রাতে মহিদুরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে রোববার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় উজ্জ্বলকে। র‌্যাব কমর্কতার্ হালিম বলেন, ‘এই দুইজনের দেখানো মতে শিশু জুবায়েরের লাশ তার বাসার প্রায় ২০০ গজ পেছনে লেবুবাগানের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। লাশটি পুরোপুরি বিকৃত হয়ে গিয়েছিল এবং শেয়াল-কুকুরে খেয়ে মাংসের টুকরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছিল।’ তিনি বলেন, ‘খেলনা দেয়ার কথা বলে তারা জুবায়েরকে নিয়ে যায় এবং গলাটিপে হত্যা করে। হত্যার পরও তারা মুক্তিপণের জন্য টাকা দাবি করে আসছিল।’