হাসপাতালে অসহায়ের ‘সহায়’ যারা

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চট্টগ্রামের পটিয়ার বাংলাবাজারের বাসিন্দা পেয়ার বানু (৫৫)। শ্বাসকষ্টসহ শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন দীঘির্দন। প্রায়ই ভতির্ থাকেন হাসপাতালে। অসহায় পেয়ার বানু ২০১৮ সাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি (আরকেএস) থেকে সহায়তা নিচ্ছেন। রেলওয়ে কলোনীর বাসিন্দা হৃদরোগী ওসমান গনি দীঘির্দন আরকেএস থেকে ওষুধসহ যাবতীয় সহায়তা নেন। এ রকম হাজারো গরিব ও অসহায় রোগী এবং তাদের স্বজনদের পাশে আছে রোগী কল্যাণ সমিতি। ২০১৭-১৮ (জুলাই-জুন) অথর্বছরে ২০ হাজার ১৮৭ জন গরিব-অসহায় রোগীকে ৬৮ লাখ ৮ হাজার ৫২০ টাকা সহায়তা দিয়েছে রোগী কল্যাণ সমিতি। এর মধ্যে অজ্ঞাত ৪২, পরিত্যক্ত ১৪ জন শিশু সেবা পেয়েছে। এ ছাড়া ২০১৬-১৭ অথর্বছরে ১১ হাজার ৩৫৩, ২০১৫-১৬ অথর্বছরে ২২ হাজার ৮১৭, ২০১৪-১৫ অথর্বছরে ১৯ হাজার ৭৪৮, ২০১৩-১৪ অথর্বছরে ২২ হাজার ২০৭ জন গরিব-অসহায় রোগী সেবা নিয়েছেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধিভুক্ত এ সংস্থা ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১৮ সালের জুন পযর্ন্ত ২ লাখ ৯৬ হাজার ৮ জন রোগী সেখান থেকে সহায়তা পেয়েছেন। সংস্থার আয়ের মূল উৎস বিত্তবানদের সহায়তা। এ ছাড়া ১ হাজার ১১৫ জন আজীবন দাতা সদস্য নিদির্ষ্ট হারে চঁাদা দেন। স্থায়ী ও অস্থায়ী দুটি ফান্ড রয়েছে। অস্থায়ী ফান্ড থেকে মূলত রোগীদের সহায়তা দেয়া হয়। ওই ফান্ডে বিত্তবানরা যাকাত-ফিতরাসহ নানাভাবে সহায়তা করেন। অন্যদিকে স্থায়ী ফান্ড তৈরির প্রক্রিয়া চলমান। মূলত হাসপাতালে ভতির্ হওয়া রোগীরা চিকিৎসকের সুপারিশ নিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে সহায়তা পেয়ে থাকেন। যেসব ওষুধ হাসপাতাল থেকে রোগীকে দেয়া হয় না, সেগুলো সরবরাহ করে সমিতি। এ ছাড়া রোগ নিণের্য় পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচও বহন করে। পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া রোগীকেও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেয়া হয়। বতর্মানে এ সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন ২০১৬ সালের শ্রেষ্ঠ হাসপাতাল সমাজসেবা কমর্কতার্ হিসেবে পুরস্কার পাওয়া অভিজিৎ সাহা। তিনি বলেন, বিত্তবানদের অনুদান থেকে রোগীদের সহায়তা দেয়া হয়। কিন্তু অনেক সময় ফান্ড সংকট থাকে, তখন সহায়তাও বন্ধ থাকে। এজন্য স্থায়ী ফান্ড তৈরির চেষ্টা চলছে। অভিজিৎ সাহা বলেন, ‘১০ কোটি টাকার স্থায়ী ফান্ড করা হবে। ইতোমধ্যে ২ কোটির বেশি টাকা এসেছে। ১০ কোটি টাকা হলে ডিপোজিট করে লভ্যাংশ থেকে রোগীদের সহায়তা দেয়া হবে।’