আ’লীগ কোনো দিনই ভোটে নিবাির্চত হয়নি: ফখরুল

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সোমবার লালমনিরহাটের পাগলার হাট এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএনপির মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর Ñযাযাদি
আওয়ামী লীগ সরকার কোনো দিনই জনগণের ভোটে নিবাির্চত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর। লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের পাগলার হাট এলাকায় এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের দিন দিনমজুর তোজাম্মেল হক নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করা হয়। নিহত তোজাম্মেল লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির পরিবার কল্যাণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছে জেলা বিএনপি। মিজার্ ফখরুল বলেন, বতর্মান আওয়ামী লীগ কোনো দিন জনগণের ভোটে নিবাির্চত হয়নি। ভবিষ্যতেও তারা জনগণের ভোটে নিবাির্চত হবে না। একাদশ নিবার্চনে প্রশাসনকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ নিবার্চন জনগণ মেনে নেয়নি। আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে নামাতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই ক্ষমতাসীন সরকারকে সরিয়ে নিদর্লীয় সরকারের অধীনে ভোট দাবি করেন মিজার্ ফখরুল। তিনি আরও বলেন, বিরোধীদলীয় নেতাকমীের্দর নামে প্রায় ৯৮ হাজার মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি ২৬ লাখ। প্রতিবাদ সভায় ঐক্যফ্রন্ট নেতা জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, তোজাম্মেলের কী অপরাধ ছিল। তার অপরাধ তিনি ধানের শীষের লোক ছিলেন। তিনি ধানের শীষে ভোট দিতে এসেছিলেন বলে আওয়ামী লীগের লোকেরা তাকে হত্যা করেছে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, এ রকম নিবার্চন পৃথিবীর কোথাও হয়নি। জনগণ এই নিবার্চন মেনে নেয়নি। তাই এই নিবার্চন বাতিল করে নিদর্লীয় সরকারের অধীনে নিবার্চনের দাবি জানান তিনি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ নেই। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে নামাতে হবে। ওই প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগীয়) আসাদুল হাবিব দুলু। এর আগে পৌনে দুপুর ১টার দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের দিন লালমনিরহাটে নিহত দিনমজুর তোজাম্মেল হকের বাড়িতে আসেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সেখানে তার কবর জিয়ারত করেন। এরপর প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন তারা। প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের দিন সকাল ৮টার দিকে তোজাম্মেল হকসহ কয়েকজন ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। পথে রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন তার বাড়ির সামনে তাদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেন। এতে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির একপযাের্য় তোজাম্মেল হককে মারধর ও পেটে ছুরি মারা হয়। পরে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় ১ জানুয়ারি লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন নিহতের ছেলে মো. মোস্তফা। আসামিরা হলেন ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন মাস্টার, আঙুর মিয়া ও তার ভাই লেবু মিয়া, সিদ্দিক আলী, শাহীন, মহসিন আলী, জাহাঙ্গীর আলম ও মজি। পরে আদালতের নিদেের্শ সদর থানায় ৯ জানুয়ারি মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। তবে পুলিশ এখন পযর্ন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।