সিলেট-কক্সবাজার, সৈয়দপুর কক্সবাজার রুটে উড়বে বিমান

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
দেশের আকাশপথে অভ্যন্তরীণ রুটে সরকারি-বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো যাত্রীসেবা দিয়ে আসছে রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র করে। এ জন্য যশোর থেকে একজন যাত্রীকে ঢাকায় এসে সিলেট বা অন্যান্য রুটের ফ্লাইটের টিকিট কাটতে হয়। তবে দীঘির্দনের এই রীতি ভাঙতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এরই অংশ হিসেবে সিলেট থেকে কক্সবাজার ও সৈয়দপুর থেকে কক্সবাজারে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটি। বিমান সূত্রে জানা গেছে, আকাশপথে আন্তজাির্তক রুটের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সড়কপথে যানজট, ফেরিঘাটে দুভোর্গ, ট্রেনের টিকিটের সংকট ও নৌপথে নাব্যতা-সংকটের কারণে যাত্রীরা আকাশপথকে বেছে নিচ্ছেন। এ ছাড়া দেশের মানুষের আথির্ক সচ্ছলতা বাড়ায় আকাশপথে টিকিটের চাহিদা বাড়ছে। বিভিন্ন বেসরকারি বিমান সংস্থাও দিন দিন ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়েছে। এসব বিষয় চিন্তা করে অভ্যন্তরীণ রুটে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ফ্লাইট পরিচালনা নিয়েছে বিমান। এরই অংশ হিসেবে সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে প্রতি সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা-যশোর রুটে সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট চালুর চিন্তা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা-রাজশাহীতে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে বিমান। বিমানের সৈয়দপুর জেলা ব্যবস্থাপক মাহবুব আল হাসান বলেন, সৈয়দপুর হচ্ছে উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ বাণিজ্য ও শিল্পসমৃদ্ধ শহর। রংপুর বিভাগের একমাত্র সৈয়দপুর বিমানবন্দরটিতে ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে প্রচুর পরিমাণে যাত্রী বাড়ছে। বিমান কতৃর্পক্ষ বিষয়টি মাথায় রেখেছে। সরকার সৈয়দপুরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এই বিমানবন্দর থেকে ভবিষ্যতে বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। তাই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট রুটে নতুন পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ। তিনি সোমবার বলেন, একসময় সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে সপ্তাহে শুধু বিমানের তিনটি ফ্লাইট ছিল। এখন বিমান ছাড়াও বেসরকারি বিমান সংস্থা ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সব মিলিয়ে সৈয়দপুর রুটেই প্রতি সপ্তাহে ফ্লাইটের সংখ্যা বতর্মানে ৭৮টি। সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তজাির্তক বিমানবন্দরে উন্নীত করার কাজ চলছে। তাই এই রুটে যাত্রী চাহিদা বিবেচনা করে ফ্লাইট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সিলেট-কক্সবাজারে সরাসরি বিমান চলাচলের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কবে নাগাদ এটি কাযর্কর হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। বিমান সূত্রে জানা গেছে, নতুন এয়ারক্রাফট আসার ওপর নতুন করে ফ্লাইট চালুর বিষয়টি নিভর্র করছে। আগামী বছরের প্রথম দিকে বিমান বহরে তিনটি নতুন ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ যুক্ত হবে। এসব উড়োজাহাজ দিয়ে আঞ্চলিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। বতর্মানে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা ১৩। এর মধ্যে চলতি বছর দুটি ড্রিমলাইনার বিমান বহরে আসবে।