রাজধানীতে হচ্ছে নতুন তিন থানা

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীতে নতুন তিনটি থানা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। তাদের প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে রাজধানীতে থানার সংখ্যা দঁাড়াবে ৫৩টিতে। প্রস্তাব অনুযায়ী সবুজবাগ ও খিলগঁাও থানার একাংশ নিয়ে দক্ষিণগঁাও; মোহাম্মদপুর থানা ভেঙে রায়েরবাজার; আর খিলক্ষেত, বাড্ডা ও ভাটারা থানার অংশবিশেষ নিয়ে বসুন্ধরা থানা করার প্রস্তাব দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এই প্রস্তাব অনুমোদন করবে প্রশাসনিক পুনবির্ন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার)। নতুন তিন থানার জন্য ২০৭টি পদ তৈরি ও ৩৬টি যানবাহনও চাওয়া হয়েছে। গত বছরের ১৩ নভেম্বর প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে সাত সদস্যের নতুন উপজেলা থানা স্থাপনসংক্রান্ত সচিব কমিটি। রাজধানীতে ক্রমবধর্মান জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা ও উন্নত আইনশৃঙ্খলার প্রত্যাশা পূরণ করতে থানার সংখ্যা বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই বলে মনে করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। নতুন যে লোকবল চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে আছেন ছয়জন পরিদশর্ক, ৩৬ জন উপপরিদশর্ক (এসআই), ৬০ জন সহকারী উপপরিদশর্ক (এএসআই), ৯৯ জন কনস্টেবল, তিনজন বাবুচির্ এবং তিনজন পরিচ্ছন্নতাকমীর্। এসব পদ তৈরি হলে সরকারের খরচ হবে বছরে ১১ কোটি ১৮ লাখ ৫১ হাজার ৬৩৪ টাকা। এই ব্যয় পুলিশ বাজেটের সংশ্লিষ্ট খাত থেকে মেটানো হবে। পরবতীের্ত বাজেটে অথর্ বরাদ্দের সংস্থান রাখা হবে। নতুন থানা করার যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, ওই ছয়টি থানায় ২০১২ থেকে ২০১৬ পযর্ন্ত ১৭৮টি খুন ও অন্যান্য অপরাধের ঘটনায় নয় হাজার ৯৩০টি মামলা হয়েছে। আর প্রস্তাবিত তিনটি থানা এলাকায় ৩১টি খুন ও অন্যান্য অপরাধের ঘটনায় এক হাজার ৬৭৬টি মামলা করা হয়েছে। প্রস্তাবিত তিনটি থানা স্থাপন করা হলে জনসাধারণ সহজে পুলিশের সহায়তা পাবে এবং এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ দমন সহজ হবে। সবের্শষ গত বছরের ৭ জুলাই হাতিরঝিল থানা উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। নতুন থানা করার উদ্যোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় জনগণের চাপ বাড়ছে। ঢাকায় এখন নিরাপত্তার জন্য নতুন নতুন থানা করে আরও বেশি নিরাপদ রাখা যায় কি না সেটাই ভাবা হচ্ছে। সেই জন্য এই নতুন থানার প্রস্তাব দিয়েছি। নিকারে পাস হলে থানাগুলোর কাযর্ক্রম চালু হবে। এতে আমরা আশা করি, ঢাকায় আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হবে।’ নতুন থানা করার উদ্যোগের বিষয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান বলেন, ‘ঢাকায় এখন দেড় থেকে দুই কোটি মানুষের বসবাস। এত মানুষের সঙ্গে তুলনা করলে আনুপাতিক হারে পুলিশের সংখ্যা কম। থানা বাড়লে অপরাধও কিছু কমবে। তবে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশকে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারলে অপরাধ অবশ্যই কমবে।’