চড়া সুদে ২৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে চীন

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
এবারই প্রথম কঠিন সুদে ২ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে যাচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। ৩ শতাংশের ওপরে সুদে ঋণ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। এর আগে ২ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়েছে চীনা ব্যাংকটি। প্রতি ডলার সমান ৮৪ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় বতর্মান ঋণের পরিমাণ দঁাড়াচ্ছে প্রায় ২৪ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। ঋণের সব প্রক্রিয়া শেষ পযাের্য়, শুধু চীন সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষা। চীন সরকারের অনুমোদনের পরে ২০১৮-২০১৯ অথর্বছরেই চীনা এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তি সই হবে বলে জানিয়েছে অথৈর্নতিক সম্পকর্ বিভাগের (ইআরডি) চীনা ডেস্ক। ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২০ বছরে বাংলাদেশকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ইআরডি সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ খাতের দুটি প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ দিচ্ছে চীনা এক্সিম ব্যাংক। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরে বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তার যে সমঝোতা চুক্তি চীন করেছিল, সেখানে নমনীয় ফ্ল্যাট সুদের হার ২ শতাংশ এবং অন্যান্য চাজর্ মিলে সাড়ে ৩ শতাংশে থাকার কথা। কিন্তু চড়া সুদের ঋণে সুদের ফ্ল্যাট রেট ৩ শতাংশ এবং অন্যান্য চাজর্ মিলে সাড়ে চার থেকে পঁাচ শতাংশ সুদ গুণতে হবে। ইআরডি বলছে, চীনা প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরে প্রায় ২৫ বিলিয়ন মাকির্ন ডলারের ঋণ সহায়তার সমঝোতা করে চীন। তবে বতর্মানে ২৭ প্রকল্পের বিপরীতে ২০ থেকে ২২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে চীন। ২৭ প্রকল্পের মধ্যে ৮টি প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেয় সরকার। এর মধ্যে বিদ্যুতের দুটি প্রকল্পকে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ‘এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেংদেনিং অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়াকর্’ প্রকল্প অন্যতম। প্রকল্পটি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) বাস্তবায়ন করবে। এই প্রকল্পে ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ঋণ দেবে চীন। প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যেই সরকারি খাত থেকে এডিপিতে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অন্য প্রকল্প হচ্ছে ‘পাওয়ার গ্রিড নেটওয়াকর্ স্ট্রেংদেনিং’। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)। প্রকল্পে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ঋণ দেবে চীনা এক্সিম ব্যাংক। প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরে বাষির্ক উন্নয়ন কমর্সূচিতে (এডিপি) ৭১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রকল্প দুটির আওতায় সরকারি খাত থেকে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ইআরডি সূত্র জানায়, বতর্মানে মাথাপিছু আয় ১৭৫১ ডলার। এছাড়াও স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের মূল্যায়নেই এটা হবে। তবে নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে উন্নয়নশীল দেশের মযার্দা পেতে ২০২৪ সাল পযর্ন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এসব কারণেই মূলত চীনা ঋণে বেড়েছে সুহদার। ইআরডির অতিরিক্ত সচিব (এশিয়া উইং) জাহিদুল হক বলেন, ‘বিদ্যুতে দুটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় তিন বিলিয়ন মাকির্ন ডলার ঋণ পেতে যাচ্ছি। সকল প্রক্রিয়া শেষ পযাের্য়, শুধু মাত্র চীন থেকে অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায়। আশা করছি চীনের অনুমোদন পাওয়া গেলে সবোর্চ্চ এক মাস সময় লাগবে।’ ঋণের সুদ প্রসঙ্গে চীনা ডেস্কে দায়িত্বে থাকা ওই কমর্কতার্ বলেন, ‘ঋণের সুদ ৩ শতাংশ। এর আগে দুই শতাংশ হারে চীন ঋণ দিতো। আমি প্রায় দেড় বছর এখানে দায়িত্ব পালন করছি, কখনো দুই শতাংশের ওপরে চীন সরকারকে সুদ নিতে দেখিনি।’