বইমেলার সাবির্ক ব্যবস্থাপনায় অখুশি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ভাষার মাসে বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলার আর এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও আয়োজনের সাবির্ক অবস্থা দেখে সন্তুষ্ট হতে পারেননি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু। বুধবার সকালে সোহ্রাওয়াদীর্ উদ্যানে বইমেলার প্রস্তুতি দেখার পর একাডেমির মহাপরিচালকের সভাকক্ষে মেলা আয়োজনে জড়িত সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এক প্রস্তুতি সভায় বসেন তিনি। সেখানে ক্ষোভের কথা জানান প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় ঠঁাই পাওয়া এই প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গ্রন্থমেলা আমার জন্য প্রথম পরীক্ষা। সে হিসেবে সকালে সোহ্রাওয়াদীর্ উদ্যানে গ্রন্থমেলার যে সাবির্ক ব্যবস্থাপনা দেখেছি, এতে আমি খুশি হতে পারিনি। যাই হোক, আমাদের হাতে সময় খুব কম। ২৪ ঘণ্টাকে এখন ৪৮ ঘণ্টা বানিয়ে কাজ করতে হবে।’ আগামী ১ ফেব্রæয়ারি বাংলা একাডেমি চত্বরে অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন তিনি ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চ : ফাদার অব দ্য নেশন শেখ মুজিবুর রহমান’ এর দ্বিতীয় ভলিউমের মোড়ক উন্মোচন করবেন। একই সঙ্গে মিশরের লেখক মুহসেন আল আরিসির ‘শেখ হাসিনা : যে রূপকথা শুধু রূপকথা নয়’ বইটিরও মোড়ক উন্মোচন করবেন তিনি। বুধবার প্রস্তুতি সভায় অংশ নেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বাংলা একাডেমির নবনিযুক্ত মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী। এ ছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ঊধ্বর্তন কমর্কতাের্দর পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ডিএমপি ও ফায়ার সাভিের্সর কমর্কতার্রা উপস্থিত ছিলেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী জানান, এবার বইমেলা থেকে প্রতিদিন অন্তত পঁাচটি বই বেছে নেবে একাডেমি। পরে সে বইয়ের লেখককে নিয়ে আসা হবে একাডেমিতে প্রথমবারের মতো চালু করা ‘লেখক বলছি’ কনাের্র। মাসব্যাপী এই আয়োজনটি চলবে আমাদের। এই কনাের্র দশর্ক, পাঠকরা আসবেন। লেখককে প্রশ্ন করবেন তারা। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহের নিদির্ষ্ট একটি দিনে তিনি বইমেলার সাবির্ক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন বলে জানান মহাপরিচালক। হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, এবারের বইমেলার থিম নিধার্রণ করা হয়েছে ‘বাহান্ন থেকে একাত্তর’; যাতে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন পযার্য় তুলে আনা হবে। সেই থিমকে নিয়েই পরিকল্পনা হচ্ছে গ্রন্থমেলার সাবির্ক সাজসজ্জার। অবকাঠামোকে সৌন্দযর্মÐিত করতে সাবির্ক প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। এবার এটাকে নতুন পবর্ বলা যেতে পারে। বাহান্নর চেতনাকে সামনে রেখে সম্পৃক্ত করা হবে সোহ্রাওয়াদীর্ উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভকেও’- বলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক। ২০১৮ সালের মেলায় ৪৫৯১টি বইয়ের মধ্যে ৪৮৮টিকে মানসম্পন্ন বলেছিল বাংলা একাডেমি। সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মহাপরিচালক বলেন, ‘মেলার বইয়ের মানের প্রশ্নে দুটি প্রতিষ্ঠান কিন্তু জড়িত। পুস্তক প্রকাশক সমিতি ও জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি। কিন্তু দায়টা চলে আসে বাংলা একাডেমির কঁাধে। বইয়ের মানের প্রশ্নে কঠোর অবস্থানে যেতে গেলে দুই সমিতি তাদের স্বাথর্ রক্ষায় নানা আবদার করে বসে। স্টল বরাদ্দ নিয়েও তাদের মধ্যে এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা রয়েছে।’ বুধবার বিকালে লটারির মাধ্যমে প্রকাশনা সংস্থাগুলোকে স্টল বরাদ্দ দেয়ার কথা রয়েছে বাংলা একাডেমির। এরপর মেলার চ‚ড়ান্ত নকশা প্রণয়ন এবং মেলায় অংশ নেয়া প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যা জানাবে বাংলা একাডেমি।