ব্যাংক খাতে অনিয়ম তদন্তে কমিশন চেয়ে উকিল নোটিশ

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ব্যাংকের অথর্ আত্মসাৎ, ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, সুদ মওকুফসংক্রান্ত বিষয় তদন্ত ও সুপারিশ প্রণয়নে কমিশন গঠন করতে সংশ্লিষ্ট পঁাচ সচিবসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভনর্রকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোটের্র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে বুধবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি। সাতদিনের মধ্যে কমিশন গঠনের সময় বেঁধে দিয়ে নোটিশে বলা হয়েছে, ‘ব্যাংকের অথর্ আত্মসাৎ, ঋণ অনুমোদনের অনিয়ম, বিভিন্ন প্রাইভেট ও পাবলিক ব্যাংকগুলোতে ঋণের ওপর সুদ মওকুফ সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত ও তা বন্ধে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ১৯৫৩ সনের ইনকোয়ারি কমিশন অ্যাক্টের অধীনে একটি কমিশন গঠন করার অনুরোধ করা হচ্ছে। ‘কয়েক বছর ধরে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিভিন্নভাবে আত্মসাৎ করা হচ্ছে। কিন্তু তা বন্ধে কাযর্কর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। যদিও আত্মসাৎ হওয়া অথর্ নাগরিকের গচ্ছিত অথর্।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, অথর্ মন্ত্রণালয়ের অথর্ বিভাগের সচিব, আথির্ক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভনর্রকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভনর্র ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মিজ্জার্ আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভনর্র খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, সিটি ব্যাংক এনএ বাংলাদেশের সাবেক সিইও মামুন রশিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রতিনিধি ও অথর্ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিশন গঠন করতে নোটিশে অনুরোধ করা হয়েছে।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের পযাের্লাচনায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে দেশে আমদানি কমার পাশাপাশি রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সঙ্গে মূল্যস্ফিতিও সহনীয় ছিল। কিন্তু ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে ২০১৮ সালে সরকারের তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণের পাশাপাশি ব্যাংক খাতের ঋণ কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ কয়েক বছর ধরেই রয়েছে আলোচনায়। নতুন বছরে নতুন সরকারের প্রথম দিন থেকেই ব্যাংক খাতে নজর দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন অথর্নীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।