সুপ্রিম কোর্টের ব্যালট ছিনতাই করেছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ডক্টর হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে যত কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছে, সবকিছুই বিএনপি ঘটিয়েছে। তারা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। এবার তারা নির্বাচনী কার্যক্রমকে ভন্ডুল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের ব্যালট ছিনতাই করেছে। এজন্য তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া মৌসুমি আবাসিকের আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বারের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল। সেখানে তারা শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনের আগেই তারা বুঝতে পেরেছে, এ নির্বাচনে তাদের জয়লাভের কোনো আশা নেই। সেজন্য তারা প্রথমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। এরপর তারা ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে এবং নির্বাচনী পরিচালনা করার স্থাপনাগুলো ভাংচুর করেছে। তিনি বলেন 'সরকার ক্ষমতায় থাকবে কিনা, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে কিনা, সেই সময় দেওয়া না দেওয়ার মালিক বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ দেশ পরিচালনার জন্য গত নির্বাচনে আগামী আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। সেজন্যই তিনি দেশ পরিচালনা করছেন।' ড. হাছান মাহমুদ বলেন, '২০০৯ সালে সরকার গঠনের একমাস পর থেকেই বিএনপি সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আর সরকারকে টেনে নামানো বহুবার চেষ্টা করে বিএনপিই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে, তারাই দড়ি ছিঁড়ে পড়ে গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি-ধমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক। এগুলোতে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।' তিনি বলেন, 'ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তারাই ঘি ঢেলেছিল। বিডিআর বিদ্রোহের সাথে বিএনপি এবং বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। বিডিআর বিদ্রোহ যেদিন হয়, সেদিন প্রতু্যষে বেগম খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল এবং তারেক জিয়ার সাথে বহুবার কথা বলেছেন, সেই রেকর্ড আমাদের কাছে আছে।' এর আগে আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরাসনের জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বরাদ্দ দিয়েছেন। এটি ঢাকা শহরের জন্যও দেওয়া হয়নি। এই প্রকল্পের কাজ চলছে, আশা করি আগামী মৌসুমে আগের মতো জলাবদ্ধতা আর হবে না।' তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরে পৌনে ১ কোটি মানুষ। আমরা পৌনে ১ কোটি মানুষ সবাই মিলে যদি ময়লা করি, সিটি করপোরেশনের ৪ হাজার কর্মীর পক্ষে পরিষ্কার রাখা কোনোদিন সম্ভব না। সুতরাং আমাদের নাগরিকদেরও দায়িত্ব আছে রাস্তাঘাট নালা-নর্দমা পরিষ্কার রাখা। ড্রেন করার পর সেই ড্রেনে যদি আমরা পলিথিন ও বাসা বাড়ির ময়লা ফেলি তাহলে সেই ড্রেন কখনো সচল থাকে না। যেটা চট্টগ্রাম ও ঢাকা শহরে সব জায়গায় হচ্ছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুর, ইউরোপ ও আমেরিকার বহু শহর আছে যেখানে থুথু ফেললে জরিমানা দিতে হয়। পৃথিবীর অনেক দেশে গিয়েছি, কোনো দেশে আমাদের মতো যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার এই অবস্থা নেই। কিন্তু আমরা যখন বিদেশে যাই তখন কিন্তু যেখানে সেখানে ময়লা ফেলি না। এই অভ্যাস থেকে আমাদের সবাইকে বিরত থাকতে হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী প্রমুখ।