৫০ শতাংশ প্রাণিজ আমিষের জোগান দিচ্ছে পোলট্রি শিল্প

আন্তর্জাতিক পোলট্রি শো'র সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

বিশেষ প্রতিনিধি
পোলট্রি শিল্প দেশের মোট চাহিদার ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ প্রাণিজ আমিষের জোগান দিচ্ছে। সরকারের সহযোগিতা পেলে ২০৪১ সাল নাগাদ দারিদ্র্য সীমা ও অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করতে এ শিল্প সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে পোলট্রি শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা। ২০৪১ সালে তা হবে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা। কর্মসংস্থান ৬০ লাখ থেকে বেড়ে হবে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। শনিবার ১২তম আন্তর্জাতিক পোলট্রি শো'র সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ওয়ার্ল্ড'স পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) এর সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, ২০১৯ সাল থেকে আমরা ফিড রপ্তানি করছি। বেশ কিছু জটিলতার কারণে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন। মুরগির মাংস রপ্তানির জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি তবে এজন্য পোলট্রি জোন, কম্পার্টমেন্টালাইজেশন, ডেডিকেটেড ফার্ম, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হালাল বোর্ড দরকার। অবিলম্বে পোলট্রি বোর্ড গঠনের জন্য দাবি জানান মসিউর। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সচিব ডক্টর নাহিদ রশীদ বলেন, দেশি পোলট্রি যে সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা যেন দীর্ঘ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পোলট্রি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে একত্রে কাজ করতে হবে। ওয়াপসা-বিবি'র সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুব হাসান বলেন, পোলট্রি শিল্পে নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তির সম্মিলন ঘটিয়ে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা, নিরাপদ ডিম ও মুরগির মাংস উৎপাদন এবং পোলট্রি শিল্পকে টেকসই করা। আগামী কয়েক বছরে এর প্রতিফলন ঘটবে। স্কুলের টিফিনে সপ্তাহে অন্তত ২টি সিদ্ধ ডিম এবং গার্মেন্টের কর্মীদের জন্য ডিম ও মুরগির মাংসের বরাদ্দ নিশ্চিত করতে সরকারের সহযোগিতা চান হাসান। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয় ২০টি দেশের ১৬৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রযুক্তি, পণ্য ও সেবা ৬০০টি স্টলে প্রদর্শন করেছেন। মেলা পরিদর্শন করেছেন প্রায় ৬০ হাজার দর্শনার্থী। পোলট্রি বিষয়ক অনলাইন, ম্যাগাজিন ও পত্রিকার কনটেন্ট বিবেচনায় পোলট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ এর প্রথম পুরস্কার লাভ করে এগ্রিলাইফ২৪.কম, দ্বিতীয় পুরস্কার এগ্রিনিউজ২৪.কম এবং তৃতীয় পুরস্কার লাভ করে পোলট্রি খামার বিচিত্রা। বেস্ট স্টলের পুরস্কার লাভ করে স্কয়ার এগ্রোভেট, দ্বিতীয় পুরস্কার এসিআই-সিভা এবং তৃতীয় পুরস্কার লাভ করে কেমিন।