নিয়ন্ত্রণে ব্রয়লার মুরগির দাম ডিমের বাজার অস্থিতিশীল

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রমজান শুরুর আগ মুহূর্তে ব্রয়লার মুরগির বাজারে অস্থিতিশীল থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে কমছে ব্রয়লারের দাম। কোথাও কোথাও কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত কমেছে বলে জানা গেছে। কিন্তু উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে ডিমের দামে। গত তিন দিনে বাজারে ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। পাড়া-মহলস্নার মুদি দোকানে ডিমের হালি এখন ৪৭-৪৮ টাকা। কোথাওবা ৫০ টাকাও রাখা হচ্ছে। একই দিন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা রোজা শুরুর আগের দিন ৩০০ টাকার কাছাকাছি ছিল। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠানকে খামার পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দেওয়ার পর বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কমতে শুরু করে। কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতা এনামুল বলেন, 'সারা দেশে বৃষ্টির কারণে ডিমের সরবরাহ অনেক কম। এ কারণে তিন দিন ধরে দাম ঊর্ধ্বমুখী।' একই বাজারের ডিম বিক্রেতা কালাম বলেন, 'আগে ১৩০ টাকা ডজন বিক্রি করেছি। এরপর ১৩৫ টাকা। পরে তা কমে আবার ১৩০ টাকায় নামে। এখন আড়তে ডিমের দাম বাড়ছে। বাজারে ডজনপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। ১৪০ টাকার কমে বিক্রি করা যাচ্ছে না।' বিভিন্ন ডিম ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে মাছ-মাংসের দাম বেশি হওয়ার কারণে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে ডিমের বাজার চড়া। এছাড়া মুরগির দাম নির্ধারণ করা হলেও ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়নি। এই সুযোগে ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন মুনাফাখোররা। 'রমজানে পণ্যের দাম বাড়েনি' : এদিকে রোববার দুপুরে ভারত ও ভুটানে ৫ দিনের সফর শেষে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, 'এবারের রমজানে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। বতর্মানে বেগুন ৫০-৬০ টাকা ও পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি। বাজারে বুটের (ছোলা) দাম আগের থেকে অনেক কম রয়েছে।' সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, 'মানুষ বাজারে গিয়ে জিনিসপত্র একবারে কিনে নিচ্ছে। ফলে বাজারে গিয়ে মানুষ ভাবছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। আসলে গতবারের থেকেও এবার সব পণ্যের সাপস্নাই অনেক বেশি রয়েছে। কোনো পণ্য সংকট হওয়া নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।' এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুজ্জামান সাঈদ, বুড়িমারী স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুর হাসান কবির, পাটগ্রাম থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মোত্তালিব হোসনে মুসা, বুড়িমারী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার একরামুল হক, বুড়িমারী কাস্টমসের আব্দুলস্নাহ প্রমুখ।