ভাষাসৈনিক খালেদা মনযূর-এ-খুদা আর নেই

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
খালেদা মনযূর-এ-খুদা
একুশে পদক পাওয়া ভাষাসৈনিক ও লেখক খালেদা মনযূর-এ-খুদা (৮৯) পরলোকে পাড়ি জমিয়েছেন (ইন্নালিলস্নাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃতু্যকালে তিনি এক ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থান মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। ভাষাসৈনিক ও লেখক খালেদা মনযূর-এ-খুদার মৃতু্যতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় শোকবার্তায় তিনি মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এ ছাড়াও তার মৃতু্যতে শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। খালেদা মনযূর-এ-খুদা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে গৌরবজনক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে চলতি বছর (২০২৩ সালে) একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। এই ভাষাসৈনিক ও লেখক ১৯৩২ সালে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার কাজীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ভাষাসৈনিক ও লেখক পরিচয়ের পাশাপাশি তিনি ছিলেন গায়িকা, শিক্ষক, সমাজসেবী ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা। তার লেখা কয়েকটি গ্রন্থ হলো- 'চীনকে চিনে এলাম', 'আপন ভুবনে', 'আশ্রয় চাই', 'কানা গলির শেষ বাড়িটা', 'আশা না পুরিলো'।