বর্তমান সরকার 'পাকিস্তান বাহিনীর প্রেতাত্মা' :ফখরুল

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'বর্তমান সরকার পাকিস্তান বাহিনীর প্রেতাত্মা। স্বাধীনতার আগে যেভাবে পাকিস্তানিরা শাসন করেছে, শোষণ করেছে, মানুষের রক্ত চুষে নিয়েছে; আজকে এই আওয়ামী লীগের সরকার যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে তারা একইভাবে বাংলাদেশের মানুষকে শোষণ করছে এবং মানুষকে তারা ভয়ংকরভাবে নির্যাতন করছে।' সোমবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ?উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে সারা দেশের রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন। তাদের হাতে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। গণসমাবেশে মঞ্চে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য একটি চেয়ার সংরক্ষিত রাখা হয়। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের সাতজন (তারেক রহমান, শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, ইশরাক হোসেন, নিপুণ রায় চৌধুরী, সোনিয়া সান্তা, জামাল হোসেন টুয়েল) হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়। জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমানকে দেওয়া বাংলাদেশের পতাকা গ্রহণ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পর যে দলটি দাবি করে- তারা স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা ক্ষমতায় আসার পরে তাদের আসল চেহারা বেরিয়ে আসে। সেই ১৯৭২ সালের আওয়ামী লীগ এখনকার মতো একইভাবে লুটপাট করেছে, একইভাবে তারা জনগণের সম্পদকে লুট করেছে, একইভাবে তারা দুর্নীতি করেছে। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন সবার দায়িত্ব হচ্ছে স্বাধীনতাকে রক্ষা করার, গণতন্ত্রকে রক্ষা করার, অধিকারকে রক্ষা করার। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে সবার ভোট দেওয়ার অধিকার আছে, বেঁচে থাকার অধিকার আছে সেটাকে রক্ষা করার জন্য আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আজকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের হটাতে হবে। দেশে আবারও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নওগাঁয়র্ যাব এক নারীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃতু্য হয়েছে। নিহত ওই নারীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ারর্ যাবের বিরুদ্ধে আবারও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের অভিযোগ উঠছে। কারণ যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দেশের অর্থনীতির ভঙ্গুর অবস্থা এবং দ্রব্যমূল্যের ?ঊর্ধ্বগতির পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব এজন্য সরকারের চরম ব্যর্থতা, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতিকে দায়ী করেন। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ডক্টর আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুলস্নাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, ফজলুর রহমান, আমান ?উলস্নাহ আমান, আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন, সিরাজুল হক, শাহ আবু জাফর প্রমুখ।