তিন দিন পর মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর সীমান্তের ওপারে ভারত অংশে দুবৃর্ত্তদের হাতে নিহত বাংলাদেশি ওমিদুলের মরদেহ তিন দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার দুপুরে পতাকা বৈঠকের পর বিজিবির কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে. কনের্ল ইমাম হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বিজিবি জানায়, গত সোমবার সকালে নাস্তিপুর সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে ওমিদুলের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। দুবৃর্ত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। পরে খবর পেয়ে ভারতের কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে মগের্ পাঠায়। এদিকে ওমিদুলের মরহেদ ফেরত চেয়ে ঘটনার দিনই সীমান্তে পতাকা বৈঠক করে বিজিবি-বিএসএফ। বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ময়নাতদন্তের পরই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু ঘটনার তিন দিন পার হলেও মরদেহ ফেরত দিতে নানা টালবাহানা করতে থাকে বিএসএফ। বিষয়টি নিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকেও দফায় দফায় বৈঠকসহ কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার নিহত ওমিদুলের মরদেহ ফেরত দিতে সম্মত হয় বিএসএফ। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে. কনের্ল ইমাম হাসান জানান, মরদেহ ফেরত দিতে সম্মত হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে কোম্পানি কমান্ডার পযাের্য় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন দশর্না কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মতিয়ার রহমান, সঙ্গে ছিলেন দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস। বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের বিজয়নগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুরেন্দ্র সিং ও কৃষ্ণনগর থানার ওসি তন কুমার। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে বিএসএফ বিজিবির কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, বিএসএফের কাছ থেকে ওমিদুলের মরদেহ গ্রহণের পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।