স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৩ জনকে একসঙ্গে বদলি

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:১৯

যাযাদি রিপোটর্
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ‘দুনীির্তর বলয়’ ভাঙতে সংস্থাটির ২৩ কমর্কতার্র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছিল দুনীির্ত দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ কমর্কতাের্ক বদলি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (পার-২) এ কে এম ফজলুল হক খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, আগামী ৭ দিনের মধ্যে তারা বদলিকৃত কমর্স্থলে যোগ না দিলে বতর্মান কমর্স্থল থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি পেয়েছেন বলে গণ্য হবে। বদলির আদেশ পাওয়া কমর্কতার্-কমর্চারীদের মধ্যে ঢাকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কাযার্লয়ের সহকারী প্রধান (পরিসংখ্যানবিদ) মীর রায়হান আলীকে বরিশালে, প্রশাসনিক কমর্কতার্ ফারুক হাসানকে রাঙামাটি, প্রধান সহকারী আশরাফুল ইসলামকে খাগড়াছড়ি, প্রধান সহকারী সাজেদুল করিমকে সিরাজগঞ্জ এবং উচ্চমান সহকারী তৈয়বুর রহমানকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সাইফুল ইসলামকে হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কাযার্লয়ের উচ্চমান সহকারী ফয়জুর রহমানকে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, প্রধান সহকারী মাহফুজুল হককে নেত্রকোনা সিভিল সাজর্ন কাযার্লয়, কম্পিউটার অপারেটর আজমল খানকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কাযার্লয়ের প্রশাসনিক কমর্কতার্ মোস্তাফিজুর রহমানকে রংপুর সিভিল সাজর্ন কাযার্লয়, প্রধান সহকারী-কাম হিসাবরক্ষক আব্দুল কুদ্দুসকে ভোলার চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সিলেটের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কাযার্লয়ের প্রধান সহকারী নুরুল হককে জামালপুর সিভিল সাজর্ন কাযার্লয়, প্রশাসনিক কমর্কতার্ গৌস আহমেদকে সিরাজগঞ্জ সিভিল সাজর্ন কাযার্লয়, উচ্চমান সহকারী আমান আহমেদকে কুড়িগ্রামের চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার অপারেটর নেছার আহমেদ চৌধুরীকে নেত্রকোনার বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছে। খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কাযার্লয়ের ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ হোসেনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, অফিস সহকারী মো. মাসুমকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, প্রধান সহকারী আনোয়ার হোসেন নওগঁা সিভিল সাজর্ন অফিস, বরিশাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কাযার্লয়ের প্রধান সহকারী মো. রাহাত খান মানিকগঞ্জের সিভিল সাজর্ন অফিস, উচ্চমান সহকারী মো. জুয়েল কক্সবাজারের মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রংপুর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কাযার্লয়ের উচ্চমান সহকারী আজিজুর রহমান শেরপুরের সিভিল সাজর্ন কাযার্লয়, স্টেনোগ্রাফার সাইফুল ইসলাম গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং প্রশাসনিক কমর্কতার্ জাহাঙ্গীর আলম সুনামগঞ্জের সিভিল সাজর্ন অফিসে বদলি হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ওই চিঠি পাঠিয়েছিল দুদক। চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন কাযার্লয়ে কিছু দুনীির্তবাজ, স্বেচ্ছাচারী ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী কমর্কতার্-কমর্চারী দীঘির্দন ধরে একই কমর্স্থলে চাকরি করার সুবাদে দুনীির্তর শক্তিশালী বলয় তৈরি হয়েছে। এদের কারণে অধিদপ্তরের সুশাসন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চিঠিতে দুদক আরও বলেছে, ‘দুনীির্তর বলয়’ তৈরি করা এসব কমর্কতার্-কমর্চারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুদকে তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অনেক অভিযোগ জমা হয়েছে, যা দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধান পযাের্য় রয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুনীির্তবাজ ও স্বেচ্ছাচারী এই ২৩ কমর্কতার্-কমর্চারীকে চিহ্নিত করেছে দুদক।