হাইকোটের্র নিদের্শনা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক কোচিং করাতে পারবেন না

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালের নীতিমালা অনুসারে দেশের সরকারি কিংবা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কোচিং করাতে পারবেন না বলে জানিয়েছে হাইকোটর্। তবে, যেসব ব্যক্তি কোনো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত নন, শুধুমাত্র তারাই ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কোচিং করাতে পারবেন বলে জানিয়েছে আদালত। সোমবার আদালতে উপস্থিত থাকা দুনীির্ত দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খানকে উদ্দেশ্য করে হাইকোটের্র বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন কথা বলেন। মো. খুরশীদ আলম খান পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অন্য একটি মামলাকে কেন্দ্র করে হাইকোটের্ উপস্থিত ছিলাম। তখন আদালত আমাকে ডেকে জানান, কোচিং নিয়ে বিচারপতিরা টেলিভিশনে দেয়া আমার দুটি টকশো দেখেছেন। তাই কোচিংয়ের সংজ্ঞা নিয়ে তারা (বিচারপতিরা) বক্তব্য স্পষ্ট করে আমাকে জানান, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বাইরে যারা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত, তারা তাদের কাযর্ক্রম চালু রাখতে পারবেন। তবে যারা কোনো না কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, তাদের ক্ষেত্রে সরকারের করা কোচিং বাণিজ্য বন্ধের ২০১২ সালের নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।’ আদালতের এই বক্তব্যের ফলে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালের নীতিমালা অনুসারে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানে যুক্ত থাকা শিক্ষকরা কোনোভাবেই কোচিং করাতে পারবেন না বলেও জানান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। গত ৭ ফেব্রæয়ারি কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালে সরকারি অনুমোদিত নীতিমালা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোটর্। এ-সংক্রান্ত পঁাচটি পৃথক রিটের শুনানি শেষে হাইকোটের্র বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও রাজীব আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। তবে, এরও আগে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের পক্ষ থেকে কারণ দশাের্নার নোটিশ দেয়া হয়। দুদকের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ওই নোটিশ দেয় সরকার। পরে ওই নোটিশ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা-২০১২ নিয়ে শিক্ষকরা হাইকোটের্ রিট দায়ের করেন। এরপর আদালত গত বছরের ২৮ ফেব্রæয়ারি ওই চিঠির কাযর্কারিতা চার মাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি রুল জারি করে। হাইকোটের্র আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আপিল করার অনুমতি চেয়ে লিভ টু আপিল করে। পরে আপিল বিভাগ গত বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাইকোটর্ বেঞ্চকে মামলার ওপর জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে নিদের্শ দেয়। আদালত এই রুল নিষ্পত্তির জন্য সাবেক দুই অ্যাটনির্ জেনারেল হাসান আরিফ ও ফিদা এম কামালকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেয়। এর দীঘির্দন পর চ‚ড়ান্ত শুনানি শেষ করে গত ৭ ফেব্রæয়ারি রায় ঘোষণা করা হয়।