সাগর-রুনি হত্যা মামলা

তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে ‘বিব্রত’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘সাগর-রুনি হত্যাকাÐের রহস্য উদঘাটনে সরকার আন্তরিক। আমরা প্রতিনিয়ত এ বিষয়ে খেঁাজ-খবর রাখছি। আশা রাখি, দ্রæতই এর একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারব। খুনিরা দ্রæত ধরা পড়বে। এই দীঘর্ সময়েও এই হত্যাকাÐের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আমি নিজেও বিব্রত বোধ করছি।’ সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকাÐের বিচার চেয়ে ঢাকা রিপোটার্সর্ ইউনিটির পক্ষ থেকে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে গেলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এই কথা বলেন। দুপুর ২টার দিকে স্মারকলিপি দিতে যান সাংবাদিক নেতারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাংবাদিক নেতারা বলেন, আর কালক্ষেপণ না করে দ্রæততম সময়ে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে এবং প্রকৃত খুনিদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। আগামী ১৭ ফেব্রæয়ারি যে তারিখ নিধাির্রত রয়েছে সেই তারিখেই যেন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়। আর যেন সময় নষ্ট করা না হয় সেজন্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘যে কোনো হত্যার বিচার পাওয়া নাগরিকের অধিকার। আর সেই অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় বড় হত্যা রহস্য উন্মোচন ও অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করেছে। সাগর-রুনি হত্যার কোনো ক‚ল-কিনারা তারা করতে পারবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। কোনো অদৃশ্য শক্তি বা বাধার কারণে এই হত্যার তদন্তের নামে বছরের পর বছর কালক্ষেপণ করা হচ্ছে সেটাই এখন বড় রহস্য।’ স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন রিপোটার্সর্ ইউনিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান, প্রচার ও প্রচাশনা সম্পাদক শেখ মাহমুদ এ রিয়াত ও সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশাহ। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বাতার্ সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ বাসায় খুন হন। পরে রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত সাত বছরে আদালতের ধাযর্ করা ৬২টি তারিখেও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি। বতর্মানে মামলার তদন্ত করছে র?্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র?্যাব)। গত ৯ জানুয়ারি মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধাযর্ ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস আগামী ১৭ ফেব্রæয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় বেঁধে দেন। এর আগে সোমবার ঢাকা রিপোটার্সর্ ইউনিটির (ডিআরইউ) সামনে সাগর-রুনির হত্যার বিচারের দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগঠনটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘দেশের বহুল আলোচিত এই হত্যাকাÐের বিচার আমরা পাইনি। অথচ হত্যাকাÐের পর পরই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু আজ পযর্ন্ত এই হত্যাকাÐের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।’ ডিআরইউ সভাপতি বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী মানবতাবাদী, তিনি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না। আমার মনে হয় আলোচিত এই হত্যাকাÐ নিয়ে উনাকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রী তার বিশ্বস্ত লোক দিয়ে এই হত্যাকাÐের বিষয়ে খেঁাজ নেবেন। তাহলে হয়তো আমরা আমাদের সহকমীের্দর হত্যার বিচার পাবো।’ ঢাকা রিপোটার্সর্ ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খানের পরিচালনায় আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সংগঠনটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।