সড়ক-মহাসড়কের বিপজ্জনক খঁুটি সরাতে হাইকোটের্র নিদের্শ

শনিবার রাতে সিলেট থেকে ঢাকায় আসার পথে নরসিংদীর শিবপুরে রাস্তার মধ্যে একটি খুঁটি দেখে ফেসবুকে লাইভ করেন রিটকারী আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি
সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কে বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা বৈদ্যুতিক পোলসহ সব ধরনের খুঁটি ৬০ দিনের মধ্যে অপসারণের নিদের্শ দিয়েছে হাইকোটর্। সুপ্রিম কোটের্র আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোটর্ বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রুলসহ এই আদেশ দেয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোডের্র চেয়ারম্যান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোডের্র চেয়ারম্যান, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নদার্নর্ ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ নিদের্শ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আদেশ বাস্তবায়নে বিবাদীদের সহযোগিতা করতে স্থানীয় কতৃর্পক্ষকে নিদের্শ দিয়েছে হাইকোটর্। রিটকারী আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন জানান, গত শনিবার রাতে সিলেট থেকে ঢাকায় আসার পথে নরসিংদীর শিবপুরে রাস্তার মধ্যে একটি খুঁটি দেখে ফেসবুকে লাইভ করেন তিনি। সেই ভিডিও দেখে অনেকেই দেশের বিভিন্ন সড়কে থাকা বিপজ্জনক খুঁটির ছবি ফেসবুকে সুমনকে পাঠান। সেসব ছবি যুক্ত করেই বুধবার হাইকোটের্ জনস্বাথের্ এই রিট আবেদন করেন তিনি। আদালতে রিটের পক্ষে সুমন নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটনির্ জেনারেল মোখলেছুর রহমান। সুমন জানান, অন্তবর্তীর্কালীন আদেশের পাশাপাশি এ বিষয়ে একটি রুলও জারি করেছে হাইকোটর্। সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ সব ধরনের বিপজ্জনক খুঁটি চিহ্নিত করে অপসারণের নিদের্শ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদেশের পর আইনজীবী সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ধরনের খুঁটির কারণে যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের দুঘর্টনা ঘটতে পারে। আপনি একদিকে রোড সেফটির কথা বলবেন, অন্যদিকে রাস্তার মাঝখানে খুঁটি দঁাড় করিয়ে রাখবেন, এটা হতে পারে না।’