৫ ব্যাংকার ও দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

স্থানীয় ঋণপত্রের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রপ্তানি না করেও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা তিন মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুনীির্ত দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার কমিশন এ অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়। স্ট্যান্ডাডর্ ব্যাংকের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের মালিকানাধীন তিনটি প্রতিষ্ঠান মাকের্ন্টাইল ব্যাংকের সীতাকুÐ শাখার কমর্কতাের্দর সঙ্গে যোগসাজশে ওই অথর্ হাতিয়ে নেন বলে দুদকের তদন্তে প্রমাণ হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচাযর্ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিগগিরই বিচারিক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে। অভিযোগপত্রে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেনÑ স্ট্যান্ডাডর্ ব্যাংকের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান এবং আমানত স্টিলস ও রুবাইয়া ভেজিটেবলের হারুনুর রশিদ, রহমান স্টিলের স্বত্বাধিকারী তালুকদার আবদুর রহমান, মাকের্ন্টাইল ব্যাংকের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট মৃণাল পাল, সাবেক ফাস্টর্ অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট পরিতোষ কুমার ধর ও মোহাম্মদ জাবেদুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার মুহাম্মদ জহুরুল আলম এবং সাবেক প্রবেশনারি অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল হাসান। দুদক সূত্র জানায়, এ ঘটনায় ২০১৭ সালে চট্টগ্রামের সীতাকুÐ থানায় তিনটি মামলা করেছিল দুদক। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ভুয়া বিল দাখিল, ঋণপত্রের শতর্ লঙ্ঘন, অসৎ উদ্দেশে পরস্পর যোগসাজশে, মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। এর মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অথর্ পাচারের অভিযোগও আনা হয়েছে। এর মধ্যে রুবাইয়া ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ ও তালুকদার ট্রেডিং কোম্পানির বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। আরেক মামলায় এইচ স্টিল রি-রোলিং মিলস, রহমান স্টিল করপোরেশন ও তালুকদার ট্রেডিংয়ের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তৃতীয় মামলায় প্রধান আসামি হারুন অর রশিদের অনুকূলে ব্যাংক থেকে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা হস্তান্তর করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। তিন মামলায় মোট ২৪ কোটি ৭৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক জাহিদ কালাম। অপর মামলা করেন আরেক সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরী। তারাই মামলাগুলোর তদন্ত করেন।