অগ্রাধিকার খাতে ঋণ প্রবাহে নজর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
উৎপাদনমুখী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং কৃষি ঋণ বিতরণের মাধ্যমে মানসম্মত কমর্সংস্থান সৃষ্টি, পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত কর?ার যে ধারা অব্যাহত রয়েছে, সেটা চলমান রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ধরনের সহায়তা চালিয়ে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৭-১৮ সালের বাষির্ক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের তরুণ শ্রমশক্তির জন্য আরও উন্নতমানের কাজের পরিবেশ তৈরি করার জন্য উল্লেখিত খাতের প্রবৃদ্ধি থেকে সহায়তা প্রয়োজন। তবে নীতি সহায়তার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ বিতরণের পর ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন অথর্নীতিবিদ ও জ্যেষ্ঠ ব্যাংকাররা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. মুস্তাফা কে মুজেরী ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য পযের্বক্ষণ কাযর্ক্রম আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে পরামশর্ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ঋণ বিতরণের ফলাফলও নিরীক্ষা করা উচিত বলে মনে করেন মুস্তাফা কে মুজেরী। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকাসর্ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলেই এসব অথৈর্নতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাষির্ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ ও বহিমুর্খী নানা রকম বাধা সত্তে¡ও বাংলাদেশে সামগ্রিক বহুমুখী অথৈর্নতিক স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে। তবে, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে বিশ্বব্যাপী অথর্নীতির ক্রমবধর্মান প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিক সংস্কারের প্রয়োজন হবে। দেশে দীঘের্ময়াদি বিনিয়োগ এবং নতুন নতুন বাজার তৈরির বিষয়ে সহায়তা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, কৃষি, সবুজ অথার্য়নের জন্য দীঘের্ময়াদি গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) থেকে সহায়তা চালু রেখেছে। এসব প্রকল্পে অথার্য়ন টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাষির্ক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৮-১৯ অথর্বছরে বাংলাদেশের অথর্নীতির আরও প্রবৃদ্ধি হবে। অভ্যন্তরীণ ও বিশ্ব চাহিদার কারণে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং উচ্চ রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়বে। উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীল খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূণর্। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বিনিয়োগের জন্য এবং উৎপাদনশীল খাতে সরকারি বিনিয়োগও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। দেশি-বিদেশি অথৈর্নতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং সম্ভাব্য ঝুঁকির আলোকে ২০১৮-১৯ অথর্বছরের বাজেটে জিডিপির হার ৭ দশমিক ৮ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নিধার্রণ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বিবেচনা করে বলছে, ২০১৮-১৯ অথর্বছরে জিডিপির হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। যদি দেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় থাকে এবং কোনো ধরনের বৈশ্বিক বাণিজ্য সংঘাত তৈরি না হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বহুমুখী আথির্ক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য এবং মূল্যস্ফীতি নিধাির্রত সীমার মধ্যে রাখতে একটি ‘সতকর্’ আথির্ক নীতি অনুসরণ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।