রংপুরে ওজনে বিক্রি হচ্ছে গরু

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২৩, ০০:০০

রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরে ওজনে বেচাকেনা হচ্ছে কোরবানির পশু। হাটের ঝক্কিঝামেলা এড়িয়ে স্টেরয়েডমুক্ত পশু কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছেন ওজনে বিক্রি হওয়া এমন গরুর খামারে। এমন দৃশ্য দেখা গেছে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জের দেওয়ানটুলি এলাকায় জমজম ক্যাটল নামে একটি খামারে। তারা ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। গত দুই কোরবানির বছর ধরে এই পদ্ধতি চালু করছে ওই খামার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেরাবানি উপলক্ষে প্রতিদিনই জমজম ক্যাটল ক্রেতারা এসে গরু দেখছেন। পছন্দ হলে ওজন মাপার যন্ত্র স্কেলে উঠিয়ে পরিমাণ দেখে খামারেই গরু রেখে যাচ্ছেন। ঈদের এক দিন বা দুই দিন আগে গরু নিয়ে যাবেন। এভাবেই সেখানে আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য রেখে যাওয়া ১২০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। ওজনে গরু বেচাকেনায় ক্রেতাদের বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে ক্রেতারা ঝক্কিঝামেলামুক্ত এবং পরিচ্ছন্ন গরু কিনতে ছুটছেন এমন খামারে। তবে এভাবে গরু বিক্রি করে ক্রেতা-বিক্রেতারা লাভবান হলেও রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ক্রেতারা জানিয়েছেন, ওজন মাপার স্কেলে গরু বেচাকেনায় সুবিধা অনেক। এমন পদ্ধতিতে বেচাকেনার কারণে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে ঠকে যাওয়ার চিন্তা নেই। বাজেট অনুযায়ী সুস্থ-সবল পশু কিনতে পারছেন তারা। জমজম ক্যাটল ফার্মে গরু কিনতে আসা রাজু আহমেদ জানান, হাটে হাটে ঘুরে এখনো পছন্দসই গরু কিনতে পারেননি। এ কারণে তিনি খামারে ওজনে মেপে পছন্দের গরু কিনতে এসেছেন। এ ধরনের পদ্ধতি তার ভালো লেগেছে বলে জানান তিনি। কোরবানির গরু ওজনে মাপা স্কেলে বেচাকেনা নিয়ে নানামত থাকলেও এমন পদ্ধতিতে কোরবানির গরুর কেনাবেচায় নানা প্রতারণাসহ ভোগান্তি লাঘব হয় বলে জানান সচেতনরা। খামারিরা জানান, হাট থেকে গরু কিনতে গেলে ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ, দূরদূরান্ত থেকে আনা গরুকে স্টেরয়েড বা মোটাতাজাকরণ ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে কিনা তা দেখে অনেক সময় বোঝার উপায় থাকে না। তাই ক্রেতারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কিংবা দেখে-শুনে গরু নিতে আসছেন খামারে। জমজম ক্যাটল খামারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মতিন আজিজ জানান, খামারে থাকা সব গরু শাহিওয়াল জাতের। এসবের জন্য ফিড ও নিয়মিত দেশি খাবারের পাশাপাশি পরিচর্যার কোনো কমতি নেই। একেকটার ওজন ও আকৃতি একেক রকম। এই গরুগুলো লালনপালন করে ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল হাই জানান ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় প্রায় ১৪ লাখ পশু প্রস্তত করেছেন খামারি ও গৃহস্থরা।