কমেনি কাঁচা মরিচের 'ঝাল'

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কেজি ৬০০
দুই দিন শেষ হয়ে শনিবার ছিল ঈদের তৃতীয় দিন। এদিন রাজধানীর কাঁচাবাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা ছিল কম। যাদের প্রয়োজন তারাই কেবল গেছেন কাঁচাবাজারে। কিন্তু সবজির দাম আগের মতোই হেঁকেছেন ক্রেতারা। কাঁচা মরিচের দাম ছিল আকাশচুম্বী। এদিন প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা দরে আর ধনেপাতার কেজি ৩০০ টাকা। শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় সবজি বাজারের বর্তমান হালচাল। বাজারে সবজির দাম আগের মতো থাকলেও সালাদ হিসেবে ব্যবহৃত সবজি বিক্রি হয়েছে চড়া মূল্যে। টমেটো ১৮০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আর লেবুর আকৃতি ও জাতভেদে প্রতি হালি বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়। শনিবার কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রি হয়েছে বেগুন ৭০-৮০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, ধুন্দল ৬০, পেপে ৬০ টাকা, করলস্না ১২০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, টমেটো ১৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, কাঁচ মরিচ ৬০০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি দরে। লাউ ৮০ টাকা পিস। এছাড়া আলু ৪০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা, আদা ৪৫০ টাকা, রসুন ১৬০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৯০, কক মুরগি ২৮০, দেশি মুরগি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সবজি বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, শনিবার কেবল দোকান খুলেছি। সবজি অল্প করে এনেছি। কারণ ক্রেতা কম জানতাম। বাজার করতে আসা চাকরিজীবী সাগর বলেন, ঈদের আগেই বাজার করে রেখেছিলাম। শুধু সালাদের সবজি কেনার জন্য বাজারে এসেছি। কোনো কিছুর দামই কম পেলাম না। টমেটোর কেজি রাখছে ১৮০ টাকা। কাঁচা মরিচের দামের কথা কী আর বলব। রুবিনা হোসেন নামে এক নারী বলেন, শুনেছি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। তবুও তো দাম কমল না, উল্টো বেড়েছে। ৬০০ টাকা কেজি বলছে। এক পোয়া হ (২৫০ গ্রাম) মরিচও কিনতে পারিনি। আধা পোয়া (১২৫ গ্রাম) কিনেছি ৭৫ টাকা দিয়ে। এছাড়া মুদি দোকান ঘুরে জানা যায়, এদিন মুদি মালামালের দাম ছিল প্রায় অপরিবর্তিত। বেড়েছে জিরা ও চিনির দাম। জিরা বিক্রি হচ্ছে ৯৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ৯২০ টাকা। চিনি বিক্রি হয়েছে ১৩৫-১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে আগের মতোই। ডালের দাম রয়েছে আগের মতোই। মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, খেসারির ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, আটা ১৩০ টাকা (২ কেজির প্যাকেট), খোলা ময়দা ৬৩ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা, প্যাকেট সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা, খোলা সরিষার তেল ২৫০ টাকা লিটার।