কুষ্টিয়া কুমিলস্না মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:১৪

যাযাদি ডেস্ক
কুমিলস্না, কুষ্টিায় ও মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন মাদকপাচারকারী এবং একজন নৌডাকাত বলে পুলিশ দাবি করেছে। এ সময় বিভিন্ন ধরনের মাদক ও অস্ত্র জব্দ করা হয়। স্টাফ রিপোর্টার এবং প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: কুমিলস্না: জেলার চান্দিনা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২১ মামলার আসামি মঙ্গল মিয়া নামে এক মাদক পাচারকরী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার তীরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মঙ্গল মিয়া জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের ভিটবাড়ি গ্রামের বাবর আলীর ছেলে। পুলিশ জানায়, মাদকের একটি চালান পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশের একটি দল তীরচর এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। তখন পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালালে মঙ্গল মিয়া (৫২) আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অপর মাদক পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। চান্দিনা থানার ওসি আবু ফয়সল জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ২ রাউন্ড গুলি, ৫শ' পিস ইয়াবা, ৫০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দাউদকান্দি থানায় ১৮টি, চান্দিনা থানায় ৩টিসহ ২১টি এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৭টি মাদকের মামলা রয়েছে। নিহতের মরদেহ কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। কুষ্টিয়া: সদর উপজেলার হরিপুরের শালদহ গড়াই নদীর চরে দু'দল মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে পুলিশের ত্রিমুখী বন্দুকযুদ্ধে নাজমুল মালিথা নামে এক মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শকসহ আহত ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল তলস্নাশি করে পুলিশ ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড গুলি এবং ৬শ' পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে। নিহত নাজমুল মালিথা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের মিরাজ মালিথার ছেলে। কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক নাছির উদ্দিন জানান, শনিবার রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার হরিপুরের শালদহ গ্রামের গড়াই নদীর চরে দু'দল মাদকপাচারকারী মাদক কেনা-বেচা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায় তারা গোলাগুলির ঘটনা ঘটায়। এমন খবর পেয়ে কুষ্টিয়ার মডেল থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছলে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছোঁড়ে। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি করলে নাজমুল গুলিবিদ্ধ হন। একপর্যায়ে মাদকপাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নাজমুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিসার জন্য কুষ্টিয়া পুলিশ হসপিটালে স্থানান্তর করা হয়। মুন্সীগঞ্জ : সদর উপজেলার মহাকালী ইউনিয়নে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নৌডাকাতিসহ ৬টি মামলার আসামি হুমায়ন বেপারী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ২টায় বাগেশ্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে ১টি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি ও ১টি ছোরা উদ্ধার করেছে। নিহত হুমায়ন উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিউনের কালির চর গ্রামের মোহন বেপারীর ছেলে। এর আগে শনিবার রাত ১০টায় সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, রাত ১০টায় মুক্তারপুর থেকে গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত দেড়টায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বাগেশ্বর এলাকায় গেলে সেখানে আগে থেকে ওতপেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলগুলি হয়। পরে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হুমায়নকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, নৌডাকাতিসহ ৬টি মামলার আসমি হুমায়নের লাশ বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।