জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছে

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিএনপি তাদের জনসমর্থনহীনতার ভীতি থেকে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও অযৌক্তিক অপপ্রচার চালাচ্ছে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছে। বাংলার জনগণও এখন বিএনপিকে বিশ্বাস করে না। বিএনপির কোনো চক্রান্তই সফল হবে না। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে 'মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশেই হবে। জনগণের রায়েই সরকার পরিবর্তন হবে।' তিনি বলেন, 'এ দেশে ভোটারবিহীন নির্বাচনের প্রবক্তা বিএনপি। তথাকথিত হঁ্যা/না ভোটের মাধ্যমে সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান শাসনতান্ত্রিক বৈধতা অর্জনের পাঁয়তারা চালান। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রম্নয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করেছিলেন।' সেতুমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির সময়ে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার কোনো সুযোগ ছিল না। কারণ নির্বাচন কমিশন ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কোনো সক্ষমতাই ছিল না। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছেন। বিশেষত সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে আরও সুদৃঢ় করতে নির্বাচন কমিশন গঠনে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করেছেন।' আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপির শাসনামলে কোনো প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়নি। তাদের সময় দুর্নীতি দমন কমিশন ছিল একটি নখ-দন্তহীন বাঘ। বিচার বিভাগ পরিচালিত হতো বিএনপির মতাদর্শ অনুসরণ করে। দলীয় ও বিতর্কিত লোকদের নিয়োগ দিয়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশনসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কলঙ্কিত করেছিল। তাদের সময় কোনো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বরং ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টায় তারা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে।' বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপি ক্ষমতা দখল করে সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার পাশাপাশি রাষ্ট্রব্যবস্থাকে অকার্যকর করেছিল। তারা আবারও ক্ষমতায় এলে সেই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পুনরাবৃত্তি ঘটাবে। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার প্রতি ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপির কোনো আস্থা নেই। অন্যদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সব ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।' সেতুমন্ত্রী বলেন, 'সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই প্রমাণ করে নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। বিএনপি ও তাদের জোটে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নিলেও এসব নির্বাচনে ৫০ শতাংশের ওপর ভোটার ভোট প্রদান করেছেন।' বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, 'জনগণ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপি আজ জনসমর্থনশূন্য হয়ে পড়েছে। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। তাই তারা নির্বাচনবিরোধী অবস্থান থেকে নির্বাচনকে ভোটারশূন্য করার নানামুখী ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।'