এরশাদ-শিরীন শারমিনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রোববার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নির্বাচনী ট্রাইবু্যনালে তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। নির্বাচনে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে এরশাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন জাসদ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ। আর স্পিকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন রংপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও পীরগঞ্জ আসনের বিএনপির পরাজিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। মামলার বিষয়ে জাসদ নেতা সাব্বির আহম্মেদ বলেন, 'জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ হলফনামায় তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট জমা দেননি। হারিয়েছে বলে একটি জিডি জমা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে দুদকের একটি মামলার তথ্যও তিনি হলফনামায় উলেস্নখ করেননি। এই দুই অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি।' তিনি আরও বলেন, '?এ বিষয়ে আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি আমলে না নেয়ায় আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করি। সেখানেও বিষয়টি আমলে নেয়া হয়নি। তাই হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইবু্যনালে ওই নির্বাচন বাতিল চেয়ে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে মামলা করেছি। অন্যদিকে, জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, 'আমি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলায় করেছি বেশ কয়েকটি অভিযোগ উত্থাপন করে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট কাস্ট দেখানো, এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, তিন মাস আগে প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রকাশ্যে টাকা দেয়া।' তিনি আরও বলেন, ?'এ বিষয়ে আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়ে কোনো ফল পাইনি। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এবং প্রার্থীর বিজয় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইবু্যনালে মামলা করেছি।' মামলার দুই বাদী আরও জানান, প্রথমে বিবাদীদের প্রতি সমন জারি হবে। এক থেকে দেড় মাস সময় দেয়া হতে পারে। এরপর বিবাদী পক্ষ সমনের জবাব দাখিল করবে। মোট ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার বিধান রয়েছে বলে তারা জানান।